Connect with us

বিবিধ

আবারো মানুষ খুন করলো রোবট

Published

on

প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সবসময়ই সতর্ক করে আসছেন। সর্বশেষ বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এই ধরনের প্রযুক্তির বিপদ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক সময় মানবজাতিকেই ধ্বংস করে ফেলবে।

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা সম্ভবত ইতিমধ্যে ফলতে শুরু করেছে। তৃতীয়বারের মতো মানুষ খুন করলো কারখানার রোবট। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ জুন জার্মানিতে। সেখানকার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগেন প্লান্টে একজন ঠিকাদারকে খুন করেছে একটি রোবট। প্লানটি বাউনটালে অবস্থিত। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে বাউনটাল ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

ভ্ক্সওয়াগেনের মুখপাত্র হেইকো হিলউইগ জানান, ওই দিন একটি স্টেশনারি রোবট সংস্থাপন করছিলেন ২২ বছর বয়সী ওই কর্মী। হঠাৎ রোবটটি তাকে জাপটে ধরে একটি ধাতব পাতের সঙ্গে পিষে ফেলে।

তবে কোম্পানির দাবি, এটা কর্মীর ভুলের কারণেই ঘটে থাকতে পারে। কারণ এসব রোবট প্রোগ্রাম করা থাকে, এর বাইরে তারা কিছুই করতে পারে না। এর বিস্তারিত কিছু জানাতে চায়নি কোম্পানি। এমনকি তার নামটিও জানানো হয়নি।

তবে তারা না জানালেও এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা অশনি সঙ্কেত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা রোবট প্রযুক্তি যেভাবে এগুচ্ছে তাতে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য মানবজাতিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এর আগে খোদ জাপানেই কারখানার এক কর্মীকে খুন করেছিল রোবট, যে দেশে রোবট প্রযুক্তি সবচেয়ে উন্নত। সেটা ১৯৮১ সালের ঘটনা। জাপানের কাওয়াসাকিতে একটি ভারি শিল্পে একজন প্রকৌশলী একটি রোবটের ত্রুটি সারানোর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রোবটের হাত কেনজি উরাদা (৩৭) নামে ওই প্রকৌশলীকে গিয়ার কাটার মেশিনে চেপে ধরে। তবে তখন দাবি করা হয়, উরাদা নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকে কাজ করছিলেন।

রোবটের হাতে সর্বপ্রথম খুন হওয়া মানুষ রবার্ট উইলিয়ামস। এটা ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, একটি কারখানাতে। কিন্তু এ ব্যাপরে কোথাও বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। হতে পারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তথ্য গোপন করা হয়েছে।

জার্মানি প্রেস এজেন্সি(ডিপিএ) জানিয়েছে, ভক্সওয়াগেনের ঘটনায় মামলা করা যায় কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা ভাবছেন। তবে কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন সেটিই এখন ভাবনার বিষয়। কেননা, রোবটের বিরুদ্ধে এর আগে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি!

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *