চট্রগ্রাম
চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাসভবনে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোবেলের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জনের একটি সশস্ত্র দল
রাত আনুমানিক ৮- ৫০ মিনিটের দিকে মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল মাওলার বাসভবনে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নাজমা মাওলা সেদিনের ঘটনার বর্ণণা দিয়ে বলেন, ‘তারা আমার ছোট ছেলে মো. গোলাম রসুল নিশানকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুজঁতে থাকে । কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমার ছোট ছেলে সেদিন কুমিল্লা ছিল। আমার সেজ ছেলে নবীন সেদিন ঘটনার কিছুক্ষণ পূর্বে কুমিল্লা থেকে ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাসায় প্রবেশ করেন। সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছোট ছেলে নিশানকে ডেকে আনতে বলে। এ সময়ে আমি ও আমার পুত্রবধূদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং ছোট ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে বীর দর্পে চলে যায়।’
মরহুম মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল মাওলার স্ত্রী জানান, সন্ত্রাসী মনোয়ারুল আলম চৌধুরী নোবেলের বড় ভাই আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও ছোট ভাই মারুফ ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। নোবেল নগরীর অলংকার, এ কে খান, কর্ণেলহাট বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নোবেল সিআরবি ডাবল মার্ডার ও রাসেল হত্যার চার্জশিটভুক্ত আসামি বলে অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমা মাওলা জানান, নোবেল গংরা তাঁদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করার জন্য ছোট ছেলের নামে বিভিন্ন সময়ে মামলা দায়ের করেছে। এমনকি এখনো তারা এই পরিবারের লোকজনকে টেলিফোনে হুমকি দিয়ে চলেছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি সন্ত্রাসী চক্রের হুমকি এবং মামলা-হামলা থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে রক্ষায় পুলিশ কমিশনার, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।