Connect with us

দেশজুড়ে

জিয়ানগরে গণধর্ষনের শিকার গৃহবধুকে এলাকা ছাড়ার চাপ

Published

on

pirojpurজিয়ানগর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের জিয়ানগরে গনধর্ষনের শিকার গৃহবধুকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের অভিযোগে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গতকাল শুক্রবার সলিম নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। পরে প্রভাবশালীদের সমঝোতায় মিমাংশার অজুহাতে রাতে তাকে ছেড়েও দেয়া হয়।
ধর্ষনের শিকার উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের টগড়া গ্রামের গৃহবধু জানান, গত ১৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় শিশু ছেলের ঔষধ আনার জন্য গৃহবধু টগড়ার ওয়াবদা বাজারে যায়। ঔষধ নিয়ে ফেরার পথে একই এলাকার শাহাদাত এর ছেলে চা দোকানী সলিম শেখ(৩২) তাকে কথা শোনার জন্য ডাকে। কথা বলতে বলতে কিছু দূরে যাওয়ার পরে মুখচেপে ৩-৪ জন যুবক বাজারের পশ্চিম পাশের মিলঘরের পাশের বাগানে নিয়ে যায়। পরে দুঘন্টা ধরে ৬ জন যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে সলিম ওই গৃহবধুকে তার বাড়িতে দিয়ে যায়। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকিও দেয়া হয়। ধর্ষনকারীদের ৩ জনকে ওই ধর্ষিতা চেনেন বলে জানান।
ধর্ষিত ওই গৃহবধু ২ সন্তানের জননী। তার স্বামী রাজ মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। কাজের তাগিদে স্বামী অন্যত্র থাকার কারনে এত দিন কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারে নাই বলেও জানান তিনি। তার স্বামী বাড়ি আসার পরে তিনি শুক্রবার দিনে ইন্দুরকানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সলিমকে আটক করে। পরে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ শুক্রবার রাতেই সলিমকে ছেড়ে দেয়।
তবে অভিযোগ করার পূর্ব পর্যন্ত ধর্ষনকারীরা এলাকায় উল­াস করতে ছিল। বর্তমানে ধর্ষনের শিকার গৃহবধুকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে ধর্ষনকারীর পক্ষের প্রভাবশালীরা। অপর দিকে আজ শনিবার বিকালে স্থানীয় পর্যায়ে প্রভাবশালীরা ওই ধর্ষনের মিমাংশা করার জন্য শালিশ বৈঠক ডেকেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য গৃহবধুকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ওসি মিজানুল হক জানান, এটা ধর্ষনের কোন ঘটনা নয়। আমরা তদন্ত করেছি। পারিবারিক কারনে এটা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পেয়ে সলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসে ছিলাম। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *