Connect with us

দেশজুড়ে

তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যার দাবীতে বাসদের রোডমার্চ

Published

on

জাহাঙ্গীর আলম রিকো: মমতা ও মোদীর দ্ব›দ্ব’র কারণে আমাদের তিস্তা চুক্তি হবে না, এটা মেনে নেয়া যায় না। এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী ভারতে যাবেন, কি আনবেন জানি না। তবে ওনাকে পানি আসতেই হবে। আমরা পানি নিয়ে আর অপেক্ষা করতে চাই না। আওয়ামীলীগ-বিএনপি রাজনীতি নিয়ে লড়াই করে, তাহালে নদী নিয়ে এত ঝামেলা কেন ? এ জাতি তা জানতে চায়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে রোর্ড মার্চের সমাপনি সমাবেশে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ সাধুর বাজারে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রীক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশ জানানো হয়, আগামী ৩০ মার্চ পানির দাবীতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক লিপি দেয়া হবে। ভারত সফরে অন্য কিছু নয়, নদীর পানির ন্যায্যা হিস্যা নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানানো হবে।
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ বিরোধী, পরিবেশ বিরোধী ভারতের এহেন সর্বনাশা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরকার কোন প্রতিবাদ করছে না। উপরন্তু তাদের কৃপায় ক্ষমতার মসনদ দখলে রাখার জন্য তিস্তার পানি না পেলেও বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার, ট্রানজিটসহ বিভিন্ন সুযোগ ভারতকে দিয়ে চলছে। বিএনপিও ভারতকে তুষ্ট রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর জাতীয় পাটি, ওরা যত কথাই বলুক, ওরা সত্যি ভারত পুজারী। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাদের কোন পদক্ষেপ নেই।

বক্তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশ আজ মরুকরণের হুমকির মুখে। উজানে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার ভারতীয় আগ্রাসী তৎপরতা ও দেশের ভেতরে সরকারের নতজানু, ভ্রান্তনীতি ও দখল-দূষণে ১ হাজার ২শ’টি নদী কমে ২শ’ ৩০টিতে নেমে এসেছে। নদীর চেহারা খালে পরিণত হয়েছে।

বাসদ কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি নদী যা ভারতের ভিতর দিয়ে এসেছে তার অধিকাংশের উজানে বাঁধ দিয়ে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি লংঘন করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তিস্তার উজানে বাঁধ দেয়ায় রংপুর অঞ্চলেও পানি সংকটে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প চালু করে তিস্তা-পদ্মার পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে পুরো মরুভূমির দিকে ঠেলে দিচ্ছে ভারত। দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃহত্তম নদী তিস্তায় এবারে শুষ্ক মৌসুম আসতে না আসতেই পানি প্রবাহ আশংকা জনকভাবে কমে গেছে। গত ২০ জানুয়ারি তিস্তার পানি প্রবাহ ছিলো ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪০০ কিউসেক।
কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজের সভাপতিত্বে সমাপনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, সদস্য কমরেড জাহেদুল হক মিলু, কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, কমরেড আব্দুল কুদ্দস, কমরেড জয়নাল আবেদিন মুকুল, কমরেড নব কুমার কর্মকার, কমরেড দেবাশীষ রায়, কমরেড সাইফুল ইসলাম পল্টু, কমরেডর মৌসুমি রহমান বুবলি প্রমুখ।

গত বুধবার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্যোগে রোডমার্চ বগুড়া শহরের সাতমাথায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এ রোডমার্চ পথিমধ্যে মহাস্থানগড়, মোকামতলা, ফাঁসিতলা, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, শঠিবাড়ীতে সমাবেশ করে রংপুরে রাত্রীযাপন করেন।
বৃহস্পতিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী থেকে মেডিকেল মোড়, পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জলাঢাকা হয়ে তিস্তা ব্যারাজে এসে সমাপনী সমাবেশ করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *