Connect with us

লাইফস্টাইল

নকল ডিম চেনার নতুন উপায়!

Published

on

dimকৃত্রিম বা নকল ডিমে বাজার ছেয়ে গেছে। এই ‘কৃত্রিম’ ডিমগুলো কোনো হাঁস বা মুরগির উৎপাদন নয়, মানুষই তৈরি করে এই ডিম। ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ডিমের খোসা। সোডিয়াম অ্যালজিনেট, অ্যালাম, জিলেটিন, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এবং পানি আর রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে ডিমের কুসুমের অংশটি।

সাধারণত এই ডিমে আসল ডিমের কোনো খাদ্যগুণ নেই। বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। আপাতদৃষ্টিতে এসব ডিম মুরগি বা হাঁসের ডিমের মতোই দেখতে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের ডিমকে চেনার কয়েকটি উপায় বলেছেন। জেনে নিন সেগুলো-

১. কৃত্রিম ডিমে‌র খোসা বাদামি রংয়ের হয়।

২. ডিমটি ফাটিয়ে এর ভেতরের হলুদ অংশটি বের করে পাত্রে রাখলে মাছি বা পোকামাকড় সেটির প্রতি আকৃষ্ট হয় না। তাতে পচনও ধরে না।

৩. এ ধরনের ডিমের খোসা আসল ডিমের চেয়ে একটু বেশিই চকচকে হয়।

৪. হাত দিয়ে স্পর্শ করলে কৃত্রিম ডিমের খোসা আসল ডিমের তুলনায় একটু বেশি খসখসে লাগে।

৫. এ ধরনের ডিম ফাটিয়ে ডিমের ভেতরের উপাদানটিকে একটি পাত্রে রাখা হলে, হলুদ অংশটি ও সাদা অংশটি মিশে যায়। আসল ডিমের ক্ষেত্রে হলুদ রংয়ের কুসুমটি আলাদা হয়ে থাকে।

৬. আসল ডিমে টোকা মারলে অনেকটা ভরাট আওয়াজ হয়, কৃত্রিম ডিমে টোকা মারলে ফাঁপা আওয়াজ আসে।

৭. আসল ডিমের ভেতরের উপাদানটিতে একটি আঁশটে গন্ধ থাকে, যা কৃত্রিম ডিমে থাকে না।

৮. কৃত্রিম ডিম কানের কাছে এনে ঝাঁকালে হালকা একটা আওয়াজ পাবেন। কারণ এই ধরনের ডিম ঝাঁকালে ভেতরের জলীয় অংশটি অর্ধ-তরল অংশটির উপরে নড়াচড়া করে।

৯. এ ধরনের ডিম ভাজার জন্য ফ্রাইং প্যানের উপর ফেললে কুসুম অংশটি সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ছ়ড়িয়ে যায়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *