রাজনীতি
নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে:রিজভী
গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবন মিলনায়তনে এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) এ কর্মীসভার আয়োজন করে। এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।
কবি ও লেখক ফরহাদ মজহারের অপহরণকে সরকারের সাজানো নাটক দাবি করে রিজভী বলেন, অপহরণকারীরা লেখক ফরহাদ মজহারকে তার ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার করে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাচ্ছেন। এটা বুঝতে কি ব্যারিস্টারি পাস করতে হয়। এটা পাগলেও বুঝেন যে রাষ্ট্রই এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কর্মীরা পাতালে ডুব দিলে সেখান থেকে ধরে নিয়ে জেলে ভরে দিচ্ছেন, নির্যাতন করছেন, ক্রসফায়ারে হত্যা করছেন।
রিজভী বলেন, আল্লাহর দরবারে হাজার শোকরিয়া যে ফরহাদ মজহারকে হজম করতে পারেনি। কারণ যেভাবে সালাহউদ্দিন আহমেদের মতো একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতা ও সাবেক মন্ত্রীকে অদ্ভুত এক নাটক সাজিয়ে বাংলাদেশের সরকার এবং ভারতের সরকার ও তাদের গোয়েন্দা বাহিনীরা অপহরণ করে ভারতে প্রেরণ করে দিলেন, ফরহাদ মজহার গুম হলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
তিনি বলেন, অপহরণের পর সালাহ উদ্দিনকে সাহেবকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটক করে রেখে দিলেন। কারণ বাংলাদেশ সরকারের অনাচারের সহযোগী হচ্ছে ভারত সরকার। আর ঠিক এরকমই একটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল ফরহাদ মজহারের ক্ষেত্রেও। তাকেও সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, বিরোধী দলকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার ম্যাসেজ হচ্ছে কবি ও লেখক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ। অপহরণের নামে সাজানো নাটক করা হয়েছে। আর সেই নাটকের পরিচালক প্রযোজক হচ্ছে সরকার।