Connect with us

খুলনা

প্রধান মন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে খুলনায় নানা আয়োজন 

Published

on

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত । এদিন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এ দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সেরবোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।খুলনায় দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে । 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে তারা রেহাই পান।

পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয়ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে তিনি বলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য তিনি দেশে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসাবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাত দিনের বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে ।


দলটির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পৃথকভাবে দিবসটি পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে এদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ভূলুণ্ঠিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে রাজনীতিবিদ হিসাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আবারো দেশে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমানের অপশাসনে দেশের মানুষের রুদ্ধশ্বাস অবস্থার সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটি তাই জাতির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর যারা ছিল অবহেলিত ও নির্যাতিত, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে ও তার নেতৃত্বের পরশে তারা আবারো জেগে ওঠার সাহস ও প্রেরণা পেয়ে যায়। এদিন শেখ হাসিনার নামে যথার্থই জেগে উঠে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সস্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা করেছে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় দেশের বরেণ্য নাগরিক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে  শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় শেষ হয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *