বিবিধ
প্রস্তুতি সম্পন্ন : আজ থেকে হজ্ব ফ্লাইট শুরু
একই দিনে হজ্ব ফ্লাইট বিজি-৩০১১ দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন, বিজি-৫০১১ রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন এবং সিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ্ব ফ্লাইট পরিচালনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ্ব ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে মোট ৫১ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ্ব পালনে বিমানে জেদ্দা যাবার কথা। হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পারাপারের জন্য ইতিমধ্যেই নিজস্ব বোয়িং ট্রিপল সেভন উড়োজাহাজ প্রস্তুত রেখেছে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ এক হাজার ৭শ` ৫৮ জন হজ্বযাত্রী পবিত্র হজ্বব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন মোট দুই হাজার ৬শ` জন, অবশিষ্ট ৯৯ হাজার একশ` ৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছর বিমানে যাবেন মোট দুই হাজার ৫শ` ৭৫ জন, বাকি ৪৮ হাজার ৪শ` ২৫ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজযাত্রীদের ইকনোমি ক্লাসে বিমান ভাড়া এক হাজার ৫শ` ১৫ মার্কিন ডলার এবং বিজনেস ক্লাসে বিমান ভাড়া দুই হাজার ৫শ` মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে দেয় অন্যান্য কর। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক সাত ঘণ্টা।
দুই মাসব্যাপি হজ্ব-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট দুইশ` ৮৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যার মধ্যে দুইশ` ২৪টি ‘ডেডিকেটেড’ এবং ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট। ১৬ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘প্রি-হজ্ব’-এ মোট ১৪৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
যা যা বহন করতে পারবেন হজ্বযাত্রীরা :
প্রত্যেক হজ্বযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক দুই পিস ৩২ কেজি মালামাল বিমানে ও বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বাধিক দুই পিস ৪২ কেজি এবং কেবিন ব্যাগেজে সাত কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই প্রতি পিস ব্যাগেজের ওজন ২৫ কেজির বেশি হতে পারবে না। প্রত্যেক হজ্বযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং হাজি সাহেবানরা ঢাকা ফেরৎ আসার পর তাদেরকে তা প্রদান করা হবে। হাজিরা সঙ্গে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না।
যেকোনো ধারালো বস্তু যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিষ্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন অ্যারোসল এবং ১০০ (এমএল)-এর বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী হাজিদের কষ্ট লাঘব করার উদ্দেশ্যে ফিরতি ফ্লাইটের (জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ) ব্যাগেজ জেদ্দা এয়ারপোর্ট এ চেক-ইনের সময় বিমানে গ্রহণ করা হবে না। পরিবর্তে এই ব্যাগেজ পূর্বেই মক্কা ও মদিনায় বিমান নির্ধারিত স্থানে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে যা বিমানের ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট হাজিদের বহনকারী ফ্লাইটেই পরিবহন করা হবে।
বিমান কর্তৃক পরিচালিত ডেডিকেটেড হজ-ফ্লাইটসমূহের চেক-ইন, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রতিবারের ন্যায় এবারো হজ্বরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন হজ্ব ক্যাম্পেই সম্পন্ন করা হবে। ফ্লাইটের হজ্বযাত্রীদের যাত্রাপূর্ব আনুষ্ঠানিকতা যথানিয়মে বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা হবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর