Connect with us

শিক্ষাঙ্গন

বেরোবির ১নং প্রবেশদ্বার দীর্ঘদিন বন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

Published

on

বেরোবি প্রতিনিধি: ছাত্রলীগ-স্থানীয় ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ১৮ দিন পেরিয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্ববিদ্যারয় ক্যাম্পাস ও আশেপাশের পরিবেশ। ছাত্রলীগ কমিটির স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় সংগঠন। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দ্বারা ভাঙ্গচুর হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ১নং তথা দেবদারু রোডের প্রবেশদ্বার দীর্ঘদিন বন্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে একধরনের ভোগান্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ^বিদ্যালয় ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মার্চ বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দোকন ভাঙ্গচুরের অভিযোগে স্থানীয় পার্কের মোড়স্থ ব্যবসায়ীদের সাথে টানা ৪ ঘন্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা বিশ^বিদ্যালয়ের গেট ভাঙ্গচুর করে।সেই সংঘর্ষের সময় হতে বন্ধ করে রাখা হয় গেটটি। কিন্তু তা খুলে দেওয়া হয়নি এখনো।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ^বিদ্যালয়ের খোলা রাখা ২নং প্রবেশদ্বারটি একাডেমিক ভবনের দূরবর্তী হওয়ায় বন্ধ গেটটি টপকিয়ে পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিশ^বিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শুভ্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকদিন হলো গেটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অনেক দূর ঘুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়। অনেক সময় লাগে ঘুরে আসতে। তেমন কোন নিরাপত্তার অজুহাতও দেখি না। দ্রæত গেটটি খুলে দেয়া দরকার।’
এদিকে এই গেটের পাশে অবস্থানরত ফটোকপি ও স্টেশনারি ব্যবসায়ীরা জানান,‘ গেটটি বন্ধ রাখায় শিক্ষার্থীরা এই গেট দিয়ে তেমন পারাপার হচ্ছে না। কাজেই আমাদেরও ব্যবসায়ে ক্ষতি হচ্ছে। গেটটি খুলে দেওয়া হলে আমাদের ভালো হতো।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তার দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সহকারী রেজিস্ট্রার আমিনুর রহমান বলেন,‘ কর্তৃপক্ষ চেয়েছে তাই গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘গেটটি ভাঙ্গচুর হওয়ায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমি বাইরে ছিলাম। কাজ করতেও বলেছিলাম। কিন্তু তা করেননি। তবে খুব দ্রæত গেটটি খুলে দেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়েরে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না সিদ্দিকার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *