ঢাকা বিভাগ
ভাঙ্গায় ১২টি মোবাইলসেট, ৪৫টি সিমসহ ওয়েলকাম পার্টির দুই সদস্য আটক
র্যাব-৮ জানায় , গত ১৩-০২-১৭ তারিখ ১১ ঘটিকার পর হতে বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাতনামা প্রতারকচক্র তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল নম্বর হতে সিরাজগঞ্জ জেলার সোনালী ব্যাংকের এনায়েতপুর শাখার ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলামকে ফোন করে ক্যাশ অফিসার গোপাল চন্দ্রের নিকট মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একজন গ্রাহকের স্পট ক্যাশের গোপন নম্বর ও ভোটার আইডি নম্বর জেনে ভূয়া গ্রাহক সেজে ১,২০,০০০/-টাকা ফরিদপুর এর ভাঙ্গা এলাকা হতে তুলে নেয়। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনে খোজ খবর করলে উক্ত মোবাইল ফোনগুলি বন্ধ পায়। আবার একই চক্র ইং ১৯-০২-১৭ তারিখ রাত্রী অনুমান রাত ৮ ঘটিকার সময় উক্ত ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন লোক তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে মেসেজে লিখে জানায় যে, “ আপনি গ্রামীণ ফোনের পক্ষ থেকে ১৫,৫৭০/-টাকা পুরুস্কার পেয়েছেন” এর কিছুক্ষন পর প্রতারকচক্র ফোন দিয়ে বলে“ আপনি পুরস্কারের টাকাটি তুলতে ১,০০০/-টাকা আমাদের নম্বরে বিকাশ করেন”। তখন তিনি তার কথায় রাজী না হলে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন ব্যক্তি একই কথা বলায় এবং এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের একজন মহিলা সদস্যকে গ্রামীণ ফোনের সিনিয়র অফিসার সাজিয়ে পুরস্কার পাওয়ার ও বিকাশে মাধ্যমে টাকা পাঠােেত বলে। উক্ত বিষয় নিয়ে ভূক্তভোগী শফিকুল ইসলাম( ম্যানেজার সোনালী ব্যাংক, এনায়েতপুর শাখা) ইং ১৯-০২-১৭ তারিখ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানায় একটি জিডি করে। জিডির সূত্র ধরে র্যাব-৮, সিপিসি-২ এর ক্যাম্প কমান্ডার(ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল এ ব্যাপারে অনুসন্ধানের জন্য মাঠে নামে। অনুসন্ধান এর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, প্রতারক চক্রের সদস্যদের অবস্থান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন কাউলিপাড়ার মুটরা গ্রাম-এ অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলটি ১৯-০২-১৭ খ্রিঃ রাত ৮.৩০ ঘটিকার সময় কাউলিপাড়া এলাকায় অভিযান করে প্রতারক চক্রের মহিলা সদস্য আসামী লতা বেগম(২৪)স্বামী- মোঃ মামুন চৌধুরীকে আটক করে। তখন উপস্থিত স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে লতা বেগমের ঘর তল্লাশি করে প্রতারনা কাজে ব্যবহৃত ০৯টি মোবাইল ও ৩৮টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম এবং নগদ ১৪০০/-(এক হাজার চারশত) টাকা উদ্ধার করে। পরে র্যাবের সদস্যরা আটক লতা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ ২২.১৫ ঘটিকার সময় ভাঙ্গা থানাধীন মালিগ্রাম এলাকায় অভিযান করে প্রতারক চক্রের সদস্য মোঃ মামুন-অর-রশিদকে তার বাড়ী হতে আটক করে এবং তার ঘর তল্লাশি করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৩টি মোবাইল ও ০৭টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম উদ্ধার করে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের দলে আরো ৮/১০ জন সদস্য রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সময়ে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের প্রলোভন দেখিয়ে প্ররোচিত করে প্রতারণামূলক ভাবে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। গত ১৯-০২-১৭ তারিখেও সিরাজগঞ্জ জেলার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার শফিকুল ইসলামকে তারা প্রলোভন দেখিয়ে লটারীতে টাকা পেয়েছেন মর্মে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের সহযোগী পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।