জাতীয়
ভারতের রেডিও চ্যানেল নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া
ভারতীয় সম্প্রচার কর্মকর্তারা বলছেন, আকাশবাণী মৈত্রী নামে এই রেডিও চ্যানেলটিতে দিনে ১৬ ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বেতার সংস্থা বাংলাদেশে বেতারের মহাপরিচালক একেএম নেছারউদ্দিন ভুঁইয়া বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এই রেডিও চ্যানেলটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। তিনি বলেছেন, অনুষ্ঠানমালায় বাংলাদেশ বেতারের বিষয়বস্তু থাকবে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বাংলা ভাষায় ভারতের নতুন করে এই রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন গণমাধ্যম বিশ্লেষকরা।
সানাউল্লাহ লাভলু, যিনি দীর্ঘদিন গণমাধ্যমে কাজ করছেন, তিনি বলেছেন, যেহেতু এটা ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাই এর একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকবে।
তিনি বলেন, “এর রাজনৈতিক একটা উদ্দেশ্য থাকবে, সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যে থাকবে, অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকবে। আর যেহেতু ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেহেতু এই রেডিওর অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তোলা হবে।”
বাংলাদেশে বেতার ও টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, যেভাবে ভারতের রেডিও বা টেলিভিশন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে ঠিক সেভাবে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো সেদেশে দেখানোর সুযোগ নেই।
কিন্তু বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক মি. ভুঁইয়া বলেন, আকাশবাণী মৈত্রী বাংলাদেশে সম্প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেতার-টিভি চ্যানেল সেদেশে সম্প্রচারের ব্যাপারে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশ বেতার ছাড়াও বাংলাদেশে বেসরকারি রেডিও বা এফএফ চ্যানেল সম্প্রচারে রয়েছে ১৮টি। সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে আরো ১০টি।
আকাশবাণীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে মৈত্রী চ্যানেলের অনুষ্ঠান বাংলাদেশের বিভিন্ন এফ এম কেন্দ্রের মাধ্যমে রিলে করার ব্যাপারেও কথাবার্তা চলছে।
বাংলাদেশের একটি এফএম চ্যানেল ‘রেডিও ভূমির’ স্টেশন চিফ শামস সুমন বলেছেন, বিষয়বস্তুর দিক থেকে দেশীয় চ্যানেলগুলো এগিয়ে থাকলেও আকাশবাণী মৈত্রীর যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকে তাহলে বাংলাদেশের এফএম রেডিও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে পারে।
“কন্টেন্ট এর দিক থাকে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে কারণ ১০ বছরে তাদের সেই মেধা, যোগ্যতা ও লোকবল তৈরি হয়েছে, কিন্তু যদি বাণিজ্যিক কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে হয়তো টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মত রেডিওকেও প্রতিযোগিতায় পড়তে হতে পারে,” বলেন তিনি।