Connect with us

দেশজুড়ে

মংলায় সরকারী রেকর্ডিয় খাল দখল করে প্রভাবশালীর চিংড়ি চাষ

Published

on

KABIR 16বাগেরহাট সংবাদদাতা: মংলা-ঘাসিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌরুটের সংযোগকারী তিনটি সরকারী রেকর্ডিয় খাল প্রভাবশালী এক ব্যক্তি জবর দখল করে চিংড়ি চাষ করছে। ইতিপূর্বে ওই খালগুলোর বাধ অপসারণ ও দখলমুক্ত করতে সরকারী উদ্যোগ নেয়া হলেও রহস্যজনক কারণে তা কার্যকর হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সরকারী খাল তার দখলে রেখেছে। আর এ সকল খাল দখলমুক্ত ও বাধ অপসারণ না হওয়ায় মুল চ্যানেলের নাব্যতা ও স্রোত ঠিক থাকছে না।

অপরদিকে এলাকাবাসীকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারী রেকর্ডিয় বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে। এই খালগুলো মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।

এর মধ্যে তকতামারী, কাটাখালী ও সুরমোহলী নামক বড় বড় তিনটি খালে বাধ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি চাষ করছে বাগেরহাটের রামপাল থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম সরোয়ার ওরফে সরো হাজী নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেল সচল রাখতে সরকার সম্প্রতি এই চ্যানেলের সকল সংযোগকারী সরকারী খাল দখলমুক্তসহ বাধ অপসারনের নির্দেশ দেয়।
এতে স্থানীয় প্রশাসন খালের বাধ অপসারনের উদ্যোগ নিয়ে কিছু খাল দখলম্ক্তুসহ বাধ অপসারণ করলেও রহস্যজনক কারণে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে থাকা ৩টি খাল এখনও অপসারণ হয়নি। সরকারের রেকর্ডিয় এই খাল ৩টি জবর দখলে রেখে সরো হাজী প্রায় ৫শ একর জমিতে চিংড়ি চাষ করছে। এতে সরকারী খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া মংলা-ঘাসিয়াখালী মুল চ্যানেলের পানি প্রবাহের গতি ফিরছে না।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক মাস পূর্বে মংলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইস্যাখালী নামক অপর আরেকটি খাল স্থানীয় প্রশাসন উম্মুক্ত করে দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ওই খালটির গোড়ার (শেষের অংশ) অংশে পুনরায় বাধ দিয়ে নিজের দখলে নিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছে সরো হাজী। প্রভাবশালী এই সরো হাজীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানায়, প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির দখলে থাকা খাল ৩টি উম্মুক্ত না করায় তারা তাদের কৃষি জমিতে মাছ ও ধান চাষাবাদের জন্য প্রয়োজন মত পানি উঠা-নামা করতে পারছে না। আর এ বিষয়ে সংশিষ্ট বিভিন্ন মহলের কাছে অভিযোগ করলে সরো হাজী তাদেরকে নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। তার ভয়ে এলাকায় কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায়না। খাল দখলের বিষয়ে সরো হাজী বলেন, বর্তমানে তার চিংড়ি ঘেরের মধ্যে সরকারের রেকর্ডিয় কোন খাল নেই। যেটি ছিল সেটি উম্মুক্ত করা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে পাইস্যাখালী খালে পুনরায় বাধ দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সরো হাজীর দখলে ৩টি সরকারী রেকর্ডিয় খাল থাকার কথা স্বাীকার করে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অর্নিবাণ হালদারঞ্চ বলেন, প্রয়োজনী সরকারী অর্থ বরাদ্দ পেলে খালগুলো উম্ম্ত্তু করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনা (ভূমি) মোঃ নাজমুল হক বলেন, মংলা-ঘাসিয়খালী চ্যানেলের তালিকাভুক্ত সরকারী রেকর্ডিয় খালগুলো উম্মুক্ত করার বরাদ্দকৃত প্রথম দফার অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক খাল এখনও উ্ম্মুক্ত করা যায়নি। দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ অনুমোদন হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *