জাতীয়
মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন
পরে দেশ ও জাতির উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুরো ঢাকাকে বাস ও রেলপথের অধীনে আনতে চাই। এজন্য এমআরটি সঙ্গে বিআরটি নির্মাণ কাজ শুরু করেছি।
তিনি জানান, এমআরটি উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত যাবে। এতে ৬০ হাজার যাত্রী উত্তরা থেকে মতিঝিল মাত্র ৩৮ মিনিটে যেতে পারবে। অর্থের সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময়ও কম লাগবে। এ সময় শেখ হাসিনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেন করারও ঘোষণা দেন।
জাপানের সাহায্য সংস্থা- জাইকার অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাইকা সহায়তা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এ প্রকল্পের ফলে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ, পরিবেশবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি যানজট মুক্ত করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাস্তবায়নাধীন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এ মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। এটি উত্তরা থেকে শুরু হয়ে পল্লবী-রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ- টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে।
মেট্রোরেল চালু হলে ঘণ্টায় উভয়দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর বাস্তবায়নাধীন বিআরটিএ লাইন দিয়ে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।