আগামী বছর নৌবাহিনীতে ২টি সাবমেরিন যুক্ত হবে
‘আগামী বছর নৌবাহিনীতে ২টি সাবমেরিন যুক্ত হবে’বাগেরহাট, ০৬ সেপ্টেম্বর, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝি নৌবাহিনীতে ২টি সাবমেরিন যুক্ত হবে।
রবিবার মংলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দীগরাজ নৌ-ঘাঁটিতে একটি ‘অয়েল ফ্লিট ট্যাঙ্কার’ কমিশনিং এবং ২টি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট ইউটিলিটি (এলসিইউ) ও ২টি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট ট্যাঙ্কার সংযুক্তকরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এতে দেশে নির্মিত প্রথম অয়েল ফ্লিট ট্যাঙ্কার খানজাহান আলী এবং এলসিইউ জাহাজ সদ্বীপ ও হাতিয়া… এবং ২টি ল্যান্ডিং ক্রাফ্ট ট্যাঙ্কার- এলসিটি-১০৩ ও এলসিটি-১০৫ যথাক্রমে নৌবাহিনীতে কমিশনিং ও সংযুক্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সাবমেরিনের জন্য ঘাঁটি ও অন্যান্য অবমাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। একই সঙ্গে খুলনা নদী অঞ্চলে পূর্ণাঙ্গ নৌবহর কার্যক্রম চালুর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২টি সাবমেরিন যুক্ত করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সাবমেরিন ২টি নৌবাহিনীতে সংযুক্ত হবে ইনশা’আল্লাহ।
শেখ হাসিনা চেইন অব কমান্ড ও পেশাগত দক্ষতা বজায় রাখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা-নাবিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, কর্মকর্তা ও নাবিকগণ পেশাগত দক্ষতা মাধ্যমে উন্নততর কর্মদক্ষতা, শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মর্যাদা সব সময় সমুন্নত রাখবেন। তিনি বলেন, এটা সবার প্রত্যাশা যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের পাশাপাশি বিশ্বের যেকোন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মহান নেতা স্বাধীনতার পরপরই দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষায় শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ভৌগোলিক ও কৌশলগত অবস্থানের কারণে দেশের সমুদ্রসীমা ও এর সম্পদ রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার আগেই এই সত্য অনুধাবন করে তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলনে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সদর দফতর পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠার দাবি করেছিলেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে আরও বলেন, ছোট্ট এই নৌবাহিনী বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার বাস্তবায়নে মাত্র ২টি পেট্রোল ক্রাফ্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে আজ মর্যাদাপূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হতে চলছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মংলা নৌ-ঘাঁটিতে পৌঁছলে বিমানবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল ফরিদ হাবিব এবং খুলনা নৌ-অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার তাকে স্বাগত জানান। নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড-অব-অনার জানায়। তিনি গার্ড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঐতিহ্য অনুসারে ‘শীপ বেল’ বেজে উঠে এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর