Connect with us

বিবিধ

আরো বাড়তি সুবিধা যুক্ত হলো মেসেঞ্জারে

Avatar photo

Published

on

Nielsen+Facebook+Remains+The+Top+App+Of+2015,+But+Messenger+Was+The+Fastest-Growing

প্রযুক্তি ডেস্ক: ফেসবুক মেসেঞ্জার ধীরে ধীরে একটি শক্তিশালী যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে। এটি এখন শুধু একটি চ্যাট প্রোগ্রামেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি দিয়ে আপনি বিভিন্ন স্টিকার, জিআইএফ, ছবি, ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারেন। আর ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন দুনিয়ায় ফেসবুক মেসেঞ্জার এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। আইওএস, অ্যান্ড্রয়েডসহ সব অপারেটিং সিস্টেমে জনপ্রিয় এই অ্যাপে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন সব সুবিধা। সেই ধারাতেই এবার যুক্ত হলো বেশকিছু নতুন ইমোজি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা একাধিক অ্যাকাউন্ট সমর্থন সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া এই মেসেঞ্জারে এসএমএস যুক্ত করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমিতসংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর মেসেঞ্জার অ্যাপে এসএমএস আবার ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এতে অ্যাপটি থেকে বার্তা আদান-প্রদান করা যাবে। ২০১৩ সালে এই ফিচারটি বন্ধ করে দিয়েছিল ফেসবুক।

এর আগে গত বছরের মে মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিনা মূল্যে ভিডিও কল করার সুবিধা যুক্ত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ওই সময় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ভিডিও কল করার সুবিধাটি উন্মুক্ত করে দিয়েছে ফেসবুক।

ব্যবহারকারীর মনের ভাব ছবির মাধ্যমে উপস্থাপনের সুযোগ দিতে নতুন ইমোজি যুক্ত করেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ২.১২.৪৪১ সংস্করণের হোয়াটসঅ্যাপে এসব ইমোজি পাওয়া যাবে। আনন্দ-বেদনার অভিব্যক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি এসব ইমোজিতে পরিবারের চিত্র তুলে ধরতে নারী-পুরুষের ইমোজিও যুক্ত করা হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপের ইমোজিগুলোতে আছে অট্টহাসি, চোখের ঘূর্ণিসহ নতুন সব মুখভঙ্গি। দুজন নারী এবং দুজন ছেলে, দুজন নারী এবং দুজন মেয়েসহ কিছু পারিবারিক ইমোজিও আছে।

ম্যাসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা অ্যাপের মাধ্যমেই আদান-প্রদান করতে পারবে ক্ষুদে বার্তা। মাত্র একটি অ্যাপের মাধ্যমে সব এসএমএস ম্যাসেজ পাওয়া, দেখা এবং ফিরতি ম্যাসেজ পাঠানো যাবে সহজেই। যদি এমএসএস সার্ভিসটি গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে ম্যাসেঞ্জারের সব সুবিধার পাশাপাশি আপনি আর একটি বাড়তি সার্ভিস পেতে যাচ্ছেন।

আপাতত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ব্যবহারকারী এই এসএমএস ফিচারটি ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। তবে এই সেবা সারা বিশ্বে কবে ছড়িয়ে পড়বে তা জানায়নি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এমএসএসের এই অন্তর্ভুক্তি ম্যাসেঞ্জারে নতুন নয়। ২০১৩ সালে ফেসবুক প্রথমবারের মতো এসএমএস প্রাপ্তি এবং পাঠানোর সেবাটি অন্তর্ভুক্ত করে ম্যাসেঞ্জার অ্যাপে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য হারে সাড়া না পেয়ে পরবর্তী আপডেটেই বন্ধ হয়ে যায় সার্ভিসটি। তাই এবার প্রথম থেকেই এসএমএস সার্ভিসের জনপ্রিয়তা যাচাই করে নিচ্ছে তারা।

এ ছাড়া, একসাথে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার ফিচারটি শুধু অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বর্তমানে উপভোগ করতে পারছে। অর্থাৎ একটি ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ দিয়েই একাধিক ব্যক্তি লগ-ইন করতে পারবে এখন থেকে। পরিবারের অন্য সদস্য এবং বন্ধুরা চাইলে এখন থেকে আপনার ডিভাইসের অ্যাপ থেকেই ম্যাসেঞ্জারে লগইন করতে পারবে।

এ ব্যাপারে ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ রয়েছে, যারা তাদের নিজেদের ফোন পরিবারের অন্য সদস্য এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে। তবে ভাগ করে নেওয়া এসব ডিভাইসে একবার কেউ লগইন করলে অন্য কেউ আর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করতে পারতেন না। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা এমন একটি ফিচার ম্যাসেঞ্জারে অন্তর্ভুক্ত করেছি, যার মাধ্যমে এখন থেকে একটি মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারেই একাধিক অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করা যাবে।’

বর্তমানে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ হোয়টসঅ্যাপ ব্যবহার করে। নতুন নতুন সুবিধা চালু করে ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে চায় ফেইসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপটি। সম্প্রতি একসঙ্গে ২৫৬ জনের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাট করার সুবিধা চালু হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। গত বছরও ফেসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন কিছু ইমোজি চালু করেছিল।

সম্প্রতি মেসেজিং অ্যাপটি এর গ্রুপ মেম্বারের ধারণক্ষমতা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২৫৬ করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ এখন বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ মাসের শুরুর দিকে এক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, এটি ১ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর মাইলস্টোন ছুঁতে পেরেছে। তাছাড়া গত ৫ মাসে ১০০ মিলিয়ন নতুন ব্যবহারকারী তৈরি হয়েছে হোয়াাটসঅ্যাপে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিবিধ

চিফ হিট অফিসার এর দায়িত্ব কি?

Avatar photo

Published

on

উইকিপিডিয়া অনুসারে, চিফ হিট অফিসার (Chief Heat Officer), বা সিএইচও (CHO) হলেন একজন পৌরসভার সেবক, যিনি চরম উচ্চ তাপদাহ মোকাবেলা এবং শহুরে তাপের প্রভাব হ্রাস করার বিষয়ে কাজ করেন। বেশিরভাগ প্রধান তাপ কর্মকর্তাদের শহর, দেশ এবং স্থানীয় সরকারের অন্যান্য কার্যালয় দ্বারা নিয়োগ করা হয়। ২০২০ এর সালের গোড়ার দিকে এই পদটির আবির্ভাব ঘটে। ওই বছর গরম জলবায়ুর বেশ কয়েকটি শহরে ছায়া বৃদ্ধি, শীতলকরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা , গাছ লাগানো এবং তাপ-বিরোধী কাজের সমন্বয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রশমিত করার চেষ্টা করার জন্য প্রধান তাপ কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি-ডেড কাউন্টি, মেলবোর্ন, এথেন্স এবং ফ্রিটাউনে প্রাথমিক হিট অফিসার পদ তৈরি করা হয়েছিল। পদটি তৈরির উদ্যোগটি আটলান্টিক কাউন্সিল দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল অ্যাড্রিয়েন আর্শট – রকফেলার ফাউন্ডেশনের রিজিলিয়েন্স সেন্টারে।

Continue Reading

বিবিধ

সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণ ২০২৩

Avatar photo

Published

on

সিদ্দিক বাজার দুর্ঘটনা ২০২৩

২০২৩ সালের ৭ মার্চ ঢাকার সিদ্দিক বাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ১৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় শতাধিক ব্যাক্তি। বিস্ফোরণে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। বিস্ফোরণের পর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা। ওই ভবনে গ্যাসের লাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস জমেছিল। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।[1][2][3]

ঘটনা প্রবাহ-
৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে ওই সাত তলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনটি গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশে। বিস্ফোরণের পরপরই চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। বিকট আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। একে একে বাড়তে থাকে ইউনিটের সংখ্যা। সাথে যোগ দেন স্থানীয়রাও। ফায়ারসার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট এসে উদ্ধার কাজ চালায়।[4]

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় গুলিস্তানের বিস্ফোরণ-
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাহজালাল বলেন, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ হয়। এসে দেখি মানুষ পড়ে আছে, চিল্লাচিল্লি করছে। লোহার গেট, ভবনের দেওয়াল ভেঙে রাস্তায় পড়েছে। একটা বাস ওই ভবনের সামনে ছিল। বাসের যাত্রীদের অনেকেই আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। [2]

স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারী সম্রাট ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘কস্তুরী হোটেল থেকে খাবার খেয়ে আমি মাত্র বের হয়েছি। তারপরই বিকট শব্দে ধোঁয়া শুরু হয়। ১০০ জনের ওপরে মানুষ আহত হয়েছে। মনে হয় ফিল্ম দেখতাছিলাম। মানুষ উইড়া উইড়া যাচ্ছে চারদিকে। ওপর থেকে যখন গ্লাসগুলো আসতেছে, তখন মনে হয় শুটিংয়ে যেভাবে মানুষের শরীরে ঢুকে যায়, ঠিক সে রকম পরিস্থিতি দেখছিলাম।’[2]

বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে গেছেন ওই ভবনটির নিচতলার বাদশা ট্রেডিংয়ের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন। তার ভাষ্য, দোকানের ম্যানেজার কথায় চা আনতে বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ বিস্ফোরণে বিকট আওয়াজে তিনি চেতনা হারান। বিস্ফোরণের আগে দোকানের ভেতরে অন্তত তিনজন ছিলেন এবং দোকানের বাইরে ছিলেন স্যানিটারি দোকানের ৭-৮ জন শ্রমিক। চেতনা ফেরার পর দোকানের বাইরে থাকা শ্রমিকদের হাসপাতালে নিতে দেখলেও ভেতরে থাকা মহাজন ও বাকিদের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান বাদশা।[4]

ওই ভবনের সামনে রাস্তার ওপর ভ্যানে করে বেল বিক্রি করছিলেন দিলীপ দাস। বিস্ফোরণে তিনিও আহত হয়েছেন। দিলীপ বলেন, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় আশপাশের এলাকা। পথচারীদের ওপর বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়তে দেখেছেন তিনি। বিস্ফোরণে তার এক ক্রেতাও আহত হয়েছেন।[4]

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সামনের বিল্ডিংয়ে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, আমি প্যান্ট পড়তেছিলাম, শব্দ শুনে এসে দেখি সব ধোঁয়া ধোঁয়া, সব অন্ধকার।[5]

ঘটনার পর বিস্ফোরণ হওয়া ভবনের বিপরীতে সামনের বিল্ডিংয়ে থাকা একজন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিকট শব্দ শুনে অফিস থেকে বাইরে এসে দেখি সব অন্ধকার। অনেক মানুষ আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। অনেকে মারাও গেছেন। পরে আমরা ধরাধরি করে ৫-৬ জনকে একটি পিকআপে তুলে দিয়েছি। তাদের মেডিকেলে নিয়ে গেছে।[5]

অপর একজন বলেন, আমি প্যান্ট পড়তেছিলাম, শব্দ শুনে এসে দেখি সব অন্ধকার। চারিদিকে রক্ত আর রক্ত।[5]

Page Source : সিদ্দিক বাজার বিস্ফোরণ ২০২৩

Continue Reading

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যেভাবে সতর্ক থাকবেন

Avatar photo

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
গত ২০ বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে, একইসঙ্গে বিকাশ ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের। বিনোদনের অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার শুরু হলেও, বিগত এক দশকেরও বেশি সময়ে এটি বিনোদনকে ছাড়িয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ ব্যাপক হারে ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে শুরু করে; ফলে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের পরিমাণও বেড়ে যায়।

বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সাইবার অপরাধের পরিমাণও বেড়েছে আনুপাতিক হারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলো সক্রিয়ভাবে এসব অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ করছে এবং নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে।

তবে, বর্তমান হাইপার-কানেক্টেড ও সবসময় অনলাইনে সংযুক্ত থাকা বিশ্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আজকাল অপরাধীরা বিভিন্নভাবে তরুণদের প্রলুব্ধ করে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে এবং দুর্ভাগ্যবশত অনেক তরুণরাই অপরাধীদের এসব ফাঁদে পা দিয়ে প্রায়শই দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির সম্মুখীন হয়। তাই, ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে তারা যেন কোনো অপরিচিত অ্যাকাউন্টের ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ না করে এবং ব্যক্তিগত কোনো তথ্য শেয়ার না করে। পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই কমিউনিটি গাইডলাইন বা ডিজিটাল যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের গোপনীয়তা নীতিগুলো ভালোভাবে পড়ে, মেনে চলতে হবে। কমিউনিটি গাইডলাইন হচ্ছে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এসব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যেহেতু, সবার সাথে কানেক্টেড থাকার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো চমৎকার একটি উপায়, তাই আমাদের উচিত এ প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী কী ব্যবস্থা রেখেছে সে সম্পর্কে অবহিত থাকা।

ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহারের সময় আমাদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা এবং ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) কারো সঙ্গে শেয়ার না করা। হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড বা ওটিপি পেয়ে গেলে যে কারো অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে এবং অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারে। সম্প্রতি, ইমো’র মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে ফ্ল্যাশ কল ফিচার চালু করেছে। নিজের অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে সবসময় আপনার অ্যাকাউন্ট আর অন্য কোনো ডিভাইসে লগ-ইন করা আছে কিনা তা চেক করুন; উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি আপনার ব্যবহৃত অ্যাপের সেটিং অপশনে গিয়ে ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ অপশনে ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্ট আর অন্য কোনো ডিভাইসে লগ-ইন করা আছে কিনা তা দেখতে পারেন (দেখে আপনার ডিভাইস ছাড়া অন্য সব ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট সাইন আউট করে ফেলুন)। ইতোমধ্যে, এমন একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, অপরাধীরা ব্যবহারকারীদের ফোন দিয়ে নিকট আত্মীয়ের ভান করে টাকা চায় এবং ভুক্তভোগীদেরকে বিপদে ফেলে। তাই, এ ধরণের বিষয়ে পুনরায় সেই আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত বা যাচাই করে নেওয়া উচিত যে আসলেই ফোনকারী আত্মীয় কিনা। দুর্ঘটনার বিষয়ে কোনো ফোনকল পেলে প্রথমেই সত্যতা যাচাই করে নিবেন যে সে ঘটনা ঘটেছে কিনা। কেউ যদি কোনো দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাকে কল করে, তাহলে আপনার আত্মীয় বা পরিচিতদের কল করে ঘটনাটি যাচাই করার চেষ্টা করুন এবং খবরটি বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা পরীক্ষা করুন।

এ সম্পর্কে জনপ্রিয় তাৎক্ষণিক ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম ইমো’র প্রোডাক্ট ডিরেক্টর গেরেট বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চমৎকার সুবিধার পাশাপাশি সতর্ক না থাকলে কিছু সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। এ বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখে ইমোতে আমরা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই জালিয়াতি বিরোধী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করেছি, যেমন এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সহ “সিক্রেট চ্যাট” ফিচার যা ব্যাবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও আমরা ব্যাবহারকারীদের আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলার ব্যাপারে উৎসাহিত করছি এবং ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণের সময় নিরাপদ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায়ের উপায় সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। বিভিন্ন খাতের অন্যান্য অনেক ব্র্যান্ডও এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত”।

আমাদেরকে বিচক্ষণতার সঙ্গে দুরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন প্ল্যাটফর্মগুলোর উপকারিতা ও সুবিধাগুলো বুঝতে হবে এবং এর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিরূপ প্রভাব প্রতিরোধ করতে হবে। সুস্থধারার অনলাইন পরিবেশ বজায় রাখতে বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উচিত শিশু ও তরুণদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও কথাবার্তা বজায় রাখা। পাশাপাশি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে তারা শঙ্কিত না হয়ে তাদের কার্যক্রমের সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং পরিবর্তিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আমাদেরকে এসব বিষয়ে আরো জানতে হবে এবং সচেতন হতে হবে এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে।

Continue Reading