দাকোপে ন্যাজ্যরীণ মিশনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচীতে অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি : দাকোপে বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশনের কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচী ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতাধীন বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ২০১৫ এর কাজের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর, বাজুয়া ইউনিয়ন বাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ২টি ইউনিয়নে বাজুয়া ও কৈলাশগঞ্জে বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশনের কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচী ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের আওতাধীন বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ২০১৫ এর কাজ চলছে। এর মধ্যে বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি মৌজার দূতিহারা খালের কালভার্ট হতে মালেঙ্গা খালের ওয়াপদার গেইট পর্যন্ত একটি বৃক্ষরোপন প্রকল্প গ্রহন করেছিল। শুরুতে এ প্রকল্পটির দরপত্র আহবান করা হয়। যার শেষ তারিখ ছিল গত জুলাই মাসের ২৫ তারিখ। সংস্থার নিয়ম অনুয়ায়ী যে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও পত্রিতায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মত গোপনীয়ভাবে দরপত্রে শর্ত লংঘন করে বিধি বহির্ভূতভাবে এ কাজের দরপত্র যোগসাজোসে নিজেরাই করিয়াছেন।
গত ২০১৪ সালের বাজুয়া ইউনিয়নের ঐ বৃক্ষরোপন প্রকল্পের যে সকল চারা গাছ রোপন করেছিল তা অতি নিম্নমানের ও অর্ধমৃত গাছের চারা ছিল যার সকল চারাই মারা গেছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়। এ চারা গাছ মরে যাওয়ায় দাকোপ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ঐ বৃক্ষরোপন এলাকা পরিদর্শন করে অনিয়ম ও দূর্নীতি দেখতে পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ন্যাজ্যারীণ মিশনের দাকোপের বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি মৌজার দূতিহারা খালের কালভার্ট হতে মালেঙ্গা খালের ওয়াপদার গেইট পর্যন্ত এ বৃক্ষরোপন প্রকল্পের কাজের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে রাসেল মন্ডল রনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেণ। এ ছাড়া সংস্থাটির বিরুদ্ধে পুকুর পূনঃ খনন,খাল পূনঃ খনন ও মাঠ ভরাটসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগটির অনুলিপি পেয়েছি। যেহেতু অভিযোগটি জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নিকট করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহাদয় আমাকে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে নিদের্শ দেন তাহলে আমি তদন্ত করে প্রতিবেদনটি জমা দেব।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর