হিলিতে অস্ত্র ও ভারতীয় রুপিসহ আটক ৪
রাসেল হাসান, হিলি প্রতিনিধি: হিলি সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, ২০টি জিহাদি বই, বোমা বানানোর কৌশলের উপর ২টি উর্দুবইসহ চারজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত শনিবার বিকাল থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে শনিবার রাত ১২টায় বিজিবি হিলি সিপি ক্যাম্পে এক সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন, হাকিমপুর উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে বাবুল হোসেন (৪৩), মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে ও হোটেল মালিক লোকমান হোসেন বেলাল (৫৫), বৈগাম এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ও হোটেল ম্যানেজার শাহাবুল ইসলাম (২৩), সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থানার ইসলামপাড়া এলাকার শহীদ আলির ছেলে জাহিদ (৩২)।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খালেকুজ্জামান পিএসসি সংবাদ সন্মেলনে জানান, বিজিবি দুদিন পূর্বে গোপন সুত্রে সংবাদ পান দেশে বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি হচ্ছে। এজন্য ঢাকা থেকে একটি সংঘবদ্ধ দল হিলিতে আসবে, তারা অবস্থান করবে এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে কিছু অস্ত্র আসবে। সেগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আমরা সংবাদটি পেয়ে সেটি নিয়ে মনিটর করছিলাম। আমার নির্দেশনায় জয়পুরহাট-৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম আশরাফ আলী বিষয়টি সম্পর্কে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন।
এরই মধ্যে গত শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিলিস্থলবন্দরের চারমাথা মোড় এলাকা থেকে বডি ফিটিং অবস্থায় বাবুল মিয়াকে জাপানের তৈরি একটি নাইন এম এম পিস্তলসহ আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্যমতে তাকে সাথে করে জয়পুরহাট-৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম আশরাফ আলীর নেতৃত্বে বিজিবির একটি বিশেষ দল উপজেলা সদরের নর্দান প্যালেস নামে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে হোটেলের বিভিন্ন রুমের টয়লেট ও তোষকের নিচ থেকে জাপান ও বুলগেরিয়ার তৈরি দুটি নাইন এম এম পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, ১লাখ ভারতীয় রুপি, ২০টি জিহাদি বই, ২টি বোমা বানানোর উর্দূবই, বিভিন্ন প্রকার সিডি, বিভিন্ন প্রকার চাদা আদায়ের নানারকম হিসাবখাতা জব্দ করা হয়। এসময় হোটেলের মালিক, ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের কাছে এবিষয়ে আরো গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের হাকিমপুর থানায় সোপর্দ করা হবে। আমরা মনে করি আজকের এ বিজিবির অপারেশন ও অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের আটকের ফলে তারা যে দেশের কোন এক জায়গায় বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছিল সেটি ভেস্তে গেছে। যা সম্পূর্ন রুপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাশকতা রুখতে কাজ করেছে। যার ফলে অনেকগুলো জীবন বেচে গেছে এবং মানুষের জানমালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।