বাঘায় পদ্মার চরাঞ্চলে মসলা জাতীয় গুঁইমরির ব্যাপক চাষ
রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নবগঠিত চক রাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরাঞ্চলে গুঁইমরির ব্যাপক চাষ হয়েছে। পেঁয়াজের সাথী ফসল হিসাবে মসলা জাতীয় গুঁইমরির চাষ করে বিঘা প্রতি ৩৫-৪০ হাজার টাকা আয়ের আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিন চর এলাকার লক্ষ্মীনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ৬২ ঘর বাসিন্দার মধ্যে এ গ্রামের ৫০ জন কৃষকই এ আবাদ করেছেন। জিন্নাত আলী, হাবিবুর রহমান, আদম আলী, বাহের শেখ, খালেক মাদবর, বিল্লাল হোসেন, তাহের মেম্বর, রফিকুল ইসলামসহ এ গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক শতাধিক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের সাথে গুঁইমরি আবাদ করেছেন। সম্পৃক্ত কৃষকরা কার্তিক মাসে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ চাষের সাথে গুঁইমরি বীজ বপন করেছেন। পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর এখন আবাদি গুঁইমরি কেটে ঘরে তুলার কাজে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষক জিল্লুর রহমান জানান, এ এলাকার অধিকাংশ জমি বালুমিশ্রিত। জমির উর্বরা শক্তি কম হওয়ায় সব ধরনের ফসল হয় না। এ কারণে তার ছোট ভাইসহ এবার কার্তিক মাসে ৩ বিঘা জমিতে মুঁড়ি কাটা পেঁয়াজের সাথে গুঁইমরির বীজ বোপন করেছিলেন। প্রতি বিঘা জমিতে গুঁইমরির বীজ, লেবার, পানি সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা । পেঁয়াজের সাথী ফসল হিসাবে দু’টি আবাদে প্রতি বিঘায় গড় খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৪৫ মণ। গড়ে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি লেগেছে এক হাজার টাকা করে। প্রতিবিঘা পেঁয়াজ থেকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার টাকা। উভয় আবাদের খরচ বাদ দিয়ে পেঁয়াজেই লাভ হয়েছে বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার টাকা। এরপর প্রতি বিঘা জমিতে ৫ মণ করে গুঁইমরি পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। যা প্রতিমণ বিক্রি লাগবে ৪-৫ হাজার টাকা করে। তাতে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা পাবেন। এতে করে সকল খরচ বাদ দিয়ে সর্বমোট আয় হবে ৩৫-৪০ হাজার টাকা প্রতি বিঘা জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, গুঁইমরি ছাড়াও চর এলাকায় অন্যান্য মসলা জাতীয় আবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষতার ভিত্তিতে চর এলাকার কৃষকরা মসলা জাতীয় চাষাবাদ করলে অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক লাভবান হতে পারবে।