মিশর-ইথিওপিয়া-সুদান বৈঠক: নীল নদের ওপর রেনেসা ড্যাম
নীল নদের পানি বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভুগছে তিনটি দেশ; দেশগুলো হলো মিশর, ইথিওপিয়া, সুদান। ইথিওপিয়া নীলের ওপর বাঁধ নির্মাণ শুরু করলে পানিবণ্টনের নতুন চুক্তির ব্যাপারে মিশরের ভীতি কাজ করতে থাকে: হয়ত নতুন চুক্তির ফলে মিশরের মানুষ নীল নদের ন্যায্য পানি থেকে বঞ্চিত হবে। সে ভীতি এখন অনেকটাই কেটে যাওয়ার পথে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে এক ত্রিদেশীয় বৈঠকে মিলিত হয়েছে এ তিন দেশ। ইথিওপিয়া গ্রান্ড রেনেসাঁ ড্যাম প্রজেক্ট নামক চুক্তিটি নিয়ে হাজির হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাইলমারিয়াম দেজালুম্ বলছেন, রেনেসাঁ বাঁধের অবকাঠামো তিন দেশের কোনো প্রকার ক্ষতির কারণ হবে না বলেই মনে করেন তারা। বরং পানিবণ্টন সুষম করবে এ বাঁধ। মিশরের মানুষকে নিশ্চিন্ত থাকতে পরামর্শ দেন তিনি। ইথিওপিয়া ২০১৩ সাল থেকে ইথিওপিয়া ৬০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বাঁধ তৈরির জন্যে নীল নদের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০১৭ সাল নাগাদ এ বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হবে। মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন- এ চুক্তি এখনও কাঠামোর পর্যায়ে আছে, একে পূর্ণাঙ্গ করার কাজ বাকি রয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সহযোগিতামূলক অবস্থানকেই বেছে নিয়েছি। আমাদের পারস্পরিক আস্থা বজায় আছে। দেজালুমের কথার বিপরীতে বলেছেন- মিশর এবং সুদানের কোনো ক্ষতি হতে না দিয়ে ইথিওপিয়ার কল্যাণের কথা সর্বোচ্চ বিবেচনায় আছে। সুদানের রাষ্ট্রপ্রধান ওমর আল বশির এ বৈঠককে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন। সুদানের পানি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী সাইফ আলাদিন হামিদ জানান, এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার অবসরে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে না। মিশর অনাদিকাল থেকে চাষাবাদ থেকে শুরু করে গৃহস্থালির কাজতো বটেই এমনকি পানীয় জলের জন্যেও নীল নদের ওপর নির্ভরশীল।