রংপুর কাউনিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ একতা চরের বাঁশের সাঁকোর উপর জন জীবন অতিষ্ট।
কাউনিয়া প্রতিনিধি:
রংপুর কাউনিয়া তিস্তার চর অঞ্চলের পঁচাশি হাজার মানুষের দুঃখ হচ্ছে মরা তিস্তার বাঁশের সাঁকোর জীবন। হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে নরবরে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে পাড়াপাড় হয়। জন জীবন শূকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে নদীর বুকচিড়ে পাড়াপাড় হলেও বর্ষার মৌসুমে চর অঞ্চলের মানুষ বন্দি হয়ে পড়ে। বীগত বছরের তিস্তার পানির স্রোতে রাস্তার বিভিন্নস্থানে ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে স্থানীয় মানুষেরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পাড়াপাড়ের জন্য দৈনন্দিন আশি থেকে পঁচাশি হাজার মানুষের চলাচলের অবলম্বন বাঁেশর সাঁকো দিয়ে চলাচল করলেও যানবাহন, গরু, ছাগল, ঘোড়া, মহিশ বিশেষ করে চর একতা হাট অঞ্চলের ভীতরের ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তিস্তার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাগুলি হচ্ছে- বকুলতলা থেকে চর নাজিরদহ মধ্যেবর্তি স্থানে এই ব্রিজটির জন্য এলাকার শ্রমিক, কৃষক,দীনমজুর, ও স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ সহ গতকাল একটি মানব বন্ধন করেন। আব্দুল কুদ্দুস বসনিয়া, উসমান আলী, আফজাল মিয়া, নুরু মিয়া প্রমুখ জানান বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন নেতা কর্মি ব্রিজটি সর্ম্পকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এবং তারা বলেন, চর নাজিরদহ থেকে এই অঞ্চলটি যেন বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করছে এবং এখানকার সাঁকোগুলো যেন পুরনো বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। তাই তারা চর নাজিরদহ একতা মধ্যেবর্তি স্থানের ব্রিজটির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। সচেতন এলাকা বাসী বলেন,যে সময় সারা বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার ভেসে উঠেছে কিন্তু এই সরকারের আমলে যদি এই ব্রিজটির কাজ সর্ম্পন্ন না হয় তাহলে আদৌ সম্ভব হবে না বলে এলাকাবাসী ক্ষোপ প্রকাশ করেন। তাই উধ্ধতম কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এলকাবাসীর আকুল আবেদন।