Connecting You with the Truth

লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুতে হাইকোর্টের রায় বহাল

লতিফ সিদ্দিকীর ইস্যুতে হাইকোর্টের রায় বহাল

প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে এমপি পদ বাতিল বিষয়ে শুনানির জন্য নির্বাচন কমিশনে যেতেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদনের ওপর ‘নো অর্ডার’ দেন।

আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ২০ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবীরা।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট এমপি পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লতিফ সিদ্দিকী। রিটে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের আরজি জানানো হয়েছে। ওই চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুলও চাওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রী পদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন।

লতিফকে বহিষ্কারের আট মাস পর বিষয়টি জানিয়ে আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠি গত ৫ জুলাই স্পিকার শিরীন শারমিনের হাতে পৌঁছায়।

এ অবস্থায় লতিফের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা মীমাংসার জন্য আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তারপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লতিফকে ২৩ অগাস্ট শুনানিতে ডাকা হয়। নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে এ রিট দায়ের করা হয়।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Comments
Loading...