Connect with us

জাতীয়

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

Avatar photo

Published

on

pm

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিজ দায়িত্বে নিজ নিজ এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম উন্নত করার জন্য শিশুদের মিড ডে মিল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, সমাজের সামর্থবান বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক-অভিভাবকরা এগিয়ে এলে আমাদের আর কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারো মুখাপেক্ষি হতে চাই না। সকলে মিলে কাজ করলে আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগেই বাচ্চাদের টিফিন তৈরী করে খাওয়ানো যায়। অতীতে এভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলত। শেখ হাসিনা শিশুদের স্কুলে চলমান মিডডে’ টিফিনের মানোন্নয়নেরও প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এবং মাদকের সঙ্গে যেন কোনভাবেই আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্যও শিক্ষক অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, মাদ্রাসা, মসজিদ ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। কেউ যেন ইসলামের নামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৬ উদ্বোধন ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি। স্বাগত বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন খালেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।প্রধানমন্ত্রী ১০৬ জন প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৬ বিজয়ী শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিদ্যানুরাগীদের পুরস্কৃত করেন।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দফতর ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ‘প্রাইমারী এডুকেশন অর্ডন্যান্স-১৯৭৩’ এবং ‘প্রাইমারী স্কুল (টেকিং ওভার) অ্যাক্ট ১৯৭৪’-এর আওতায় ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমকি বদ্যিালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের পদ সরকারিকরণ করেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ‘৭৫ সালের আগস্ট ট্রাজেডির পর বাকি সুপারিশসমূহ ২১ বছর আলোর মুখ দেখেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করেন, অন্যদিকে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান রচনা করে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে নারীদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করার ৪০ বছর পর আমি ২০১৩ সালে দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছি। সেদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা ঘোষিত পদের চেয়ে ৫ হাজার বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ২০০ শিক্ষকের চাকরি সরকারি করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব কিছুই আওয়ামী লীগ সরকার করছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহনের পর আমাদের পদক্ষেপের ফলে মাত্র দু’বছরে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়ায়। এ অর্জনের স্বীকৃতি হিসাবে বাংলাদেশ ‘ইউনেস্কো স্বাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮’ লাভ করে। কিন্তু বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সেটাতো বাড়াইনি বরং আমাদের রেখে যাওয়া হারের চেয়ে ২০ শতাংশ কমিয়ে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে আনে।
প্রধানমন্ত্রী বিগত ৭ বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমরা গত ৭ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে ১৯৩ কোটি বই বিতরণ করেছি। পৃথিবীতে বিনামূল্যে এত বিপুল পরিমান বই সরবরাহের আর কোন নজীর আছে কি না আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, এবারও পহেলা জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে দেশব্যাপী ‘বই উৎসব’ হয়েছে এবং মাধ্যমিক পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৭২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে ৩৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৭২টি নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ১০ কোটি ৮৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৯৭টি বই বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১০ সালে আধুনিক-বিজ্ঞানসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। এতে প্রাথমিক শিক্ষা-শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ, আচরণ ও ভাষা শিখানোর বিষয়টি মৌলিক স্তর হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ণমালায় পাঠ্য পুস্তক তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট এবং নিজস্ব সামান্য সম্পত্তি রাষ্টীয় কোষাগারে দান করে তা দিয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট গঠন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি-উপবৃত্তি এবং দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এখন দেশে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। ২০০৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৬৩৬ জন। ২০১০ সালে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৭৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৭ জনে উন্নীত করেছিলাম। আমরা এবছর উপবৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়িয়েছি।’
৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্বাক্ষরতা কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করি। সহকারি শিক্ষকের বেতন একধাপ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাশ। এ হার শতভাগে উন্নীত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জোট সরকারের সময়ের ঝড়ে পড়ার হার ৫০ দশমিক ৫ % শতাংশ থেকে বর্তমানে আমরা তা ২০ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
তিনি বলেন, দেশে এখন সাক্ষরতার হার ৭১ শতাংশ। ইনশাল্লাহ অচিরেই আমরা নিরক্ষরতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়ন কর্মকান্ডের আরো পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আওতায় ৯১ টি ‘শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের ৫২টি জেলার ১৪৮টি উপজেলায় ১ হাজার ১৪০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৫৬৭টি ‘আনন্দ স্কুল’ প্রতিষ্ঠা, আনন্দ স্কুলে বিনামূল্যে বই দেয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে পোষাক ও উপবৃত্তি প্রদান এবং ৫ হাজার ৯শ’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুন:নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০টি বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩০৭টির কাজ শেষ হয়েছে।
এছাড়া, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে ধারণা দিতে ‘সুস্বাস্থ্যে-সুশিক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় ৩৯ হাজার ৩০৩টি গভীর নলকূপ স্থাপন পরিকল্পনার আওতায় ২৫ হাজার ৬২১টি স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষকতা মহান পেশা। তাদের সম্মান অনেক উপরে। এখনও আমি আমার শিক্ষকদের যেখানে পাই সম্মান জানাই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা প্রায়ই বলতেন “সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চাই”। আপনারা হচ্ছেন সেই মানুষ গড়ার কারিগর। আপনারা পারেন-নীতি ও মূল্যবোধের চর্চা শিখিয়ে দেশের প্রতিটি শিশুকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। ভালো-মন্দ কিংবা ন্যায়-অন্যায় বিবেচনার জ্ঞান এবং দেশাত্মবোধের শিক্ষা দেয়া আপনাদের দায়িত্ব। তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। দরিদ্র প্রতিবন্ধীদের আপন করে নেয়ার শিক্ষাও আমি আশাকরি শিক্ষকেরা তাদের শিক্ষার্থীদের দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে এগিয়ে এসে দেশ থেকে নিরক্ষরতাকে চিরতরে দূর করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
অনুষ্ঠানে পদক প্রাপ্তদের তিনি অভিন্দন জানিয়ে বলেন, অর্জিত পদক আগামী দিনে ‘সোনার মানুষ’ হিসেবে গড়ে ওঠার উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১০৬ জনকে ’জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৫’ তে ভূষিত করেন। পুরস্কার বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিদ্যোৎসাহী ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং উপহারের চেক তুলে দেন।
পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন- শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন (কুষ্টিয়া), শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান (বিয়ানী বাজার সিলেট), শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. রহিমা খাতুন (সোনাইমুড়ি নোয়াখালী) শ্রেষ্ঠ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম (পাবনা,রাজশাহী), শ্রেষ্ঠ পিটিআই সুপারিনটেন্ডেন্ট মো.জয়নাল আবেদীন (কুমিল্লা পিটিআই), শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো অহিদুল ইসলাম (ডুমুরিয়া খুলনা), শ্রেষ্ঠ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর যুথিকা রানী দাস (দিনাজপুর পিটিআই),শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আব্দুর রহিম (কালিয়াকৌর গাজীপুর), শ্রেষ্ঠ ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তাফিজুর রহমান (চারঘাট ইউআরসি, রাজশাহী), শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মেজর শিরীন আক্তার (পটুয়াখালী সদর, পটুয়াখালী), শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজকর্মী অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল হক (মিঠা মইন,কিশোরগঞ্জ),শ্রেষ্ঠ শিক্ষক প্রাথমিক বিদ্যালয় মো.সিদ্দিকুর রহমান পূর্ব চড়কগাছিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বরগুণাসদর বরগুণা, শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকা তাসলিম চৌধুরী (সদর মৌলভী বাজার) প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

“জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।

রবিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর সদর, ঝিলটুলি, অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর নারী বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা হক এর সঞ্চালনায় ও ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১৫,২০,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টি এন সি সি এর সদস্য নাহার যুবায়ের কণা, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় আমির মোঃ আল আমিন সবুজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মাহবুবুল আলম নিক্কন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক জনসংখ্যা। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে নারীদেরকে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা,অপরাজনীতি, হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষদের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রেখে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নারীদেরকে মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে যাবতীয় জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading

Highlights

‘দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’

Avatar photo

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা ও ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। শনিবার দিনব্যাপী ময়মনসিংহে টাউনহল মোড়স্থ এ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। “বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অস্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা হেযবুত তওহীদ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি রহমত উল্লাহ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের শীর্ষনেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সম্পাদিকা রোজিনা আক্তার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, শেরপুর জেলা সভাপতি মোমিনুর রহমান পান্না, জামালপুর জেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি আব্দুল কায়ইয়ুম প্রমুখ।

ভায় হেযবুত তওহীদের ইমাম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা ও সাম্রাজ্যবাদীদের কড়াল থাবা থেকে কোটি বাঙ্গালীকে রক্ষার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যারা সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় মত্ত, তারা বাংলাদেশের মানচিত্র খাবলে খাওয়ার জন্য শকুনের মত থাবা বিস্তারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একটি মহান আদর্শের ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বর্তমান সমাজ, অন্যায়-অশান্তি, মিথ্যা, প্রতারণা, মাদক ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। সমাজের এই অধঃপতনের মূল কারণ আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমদাতা হিসেবে না মানা। সমাজের এই দূরাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে মানবজাতিকে আবার আল্লাহকে ইলাহ এর আসনে বসাতে হবে। এককভাবে এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই কাজে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।”

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কামড়াকামড়ির এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির এই রাজনীতি বন্ধ না হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক অর্থ ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে বিশ্বময় চলমান যুদ্ধাবস্থা ও এর কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য জাতিকে সতর্ক সচেনত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, লেবাসধারী এক শ্রেণির ভণ্ডআলেমদের স্বার্থবাদী উগ্র কর্মকাণ্ডের কারণে ইসলামের গায়ে আজ কালিমা লিপ্ত হয়েছে। আর এদের মুখোশ উন্মোচন করায় তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। তিনি উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না। হেযবুত তওহীদ সত্য নিয়ে এসেছে। মিথ্যার ধ্বংস এবার অনিবার্য। এসময় ধর্মব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অপপ্রচারের কড়া জাবাব দেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।

ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলের যুগে নারীরা মসজিদ থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত গিয়েছেন। তারা শালীনতার সাথে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে নারীদের ঘরবন্দী করেছে। ইসলাম নারীদের যে অধিকার মর্যাদা দিয়েছে তা হরণ করেছে। সকল মজলুম, অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেযবুত তওহীদের আগমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বক্তা। এসময় তিনি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশ দেন।

বিভাগীয় কর্মী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা নারী সম্পাদিকা সাথী আক্তার পলি, নুসরাত জাহান পলি, পাপিয়া আক্তার, সুরমা আক্তারসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Continue Reading