Connect with us

জাতীয়

সততা ও নিষ্ঠার সাথে শতভাগ এডিবি বাস্তবায়ন করা হবে

Avatar photo

Published

on

DSC_8069

চট্টগ্রাম নগরীর এলজিইডি ভবনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, এলজিইডি’র কাজের ক্ষেত্রে অতীতের চিত্র ছিল ঠিকাদারেরা কাজ করে দিনের পর দিন বসে থাকলেও সঠিক সময়ে অর্থায়ন বা তাদের বিল প্রদান করা সম্ভব হতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চিত্রটি ভিন্ন। এটা দেখে বোঝা যায়, দেশ উন্নয়নের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব যদি আমরা সঠিকভাবে পালন ও এডিবি’র শতভাগ সফল বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে প্রবৃদ্ধি কম হয়। এজন্য এলজিইডি’র বিভিন্নস্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার মাধ্যমে গুণগত মান বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে শতভাগ এডিবি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কারো কোন অনীহা থাকবে না এবং ব্যত্যয়ও ঘটবে না।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি ভবনে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে এলজিইডি’র আওতাধীন বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প/কর্মসূচি সমূহের অগ্রগতি বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মকর্তাদের উন্নয়নের জন্য সকল ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জ্ঞানের ঘাটতি থাকার সত্বেও যারা সঠিকভাবে কাজ করতে চান তাদের ঘাটতি পূরণে এ ট্রেনিং মুখ্য ভূমিকা রাখবে। আর যারা ভাল কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মুখে পড়েন তাদেরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকারি নীতি ও বিধি বিধান উপেক্ষা করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে বিন্দুমাত্র ক্ষমার চোখে দেখা হবে না। যেহেতু এলজিইডি উন্নয়নমুলক বিশাল অংকের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে সেহেতু এলজিইডি’র কাছে সরকার ও জনগণের প্রত্যাশা বেশি। তাই উন্নয়নের দিকে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে হলে চলতি অর্থবছরে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। ফলে দেশের উন্নয়নে আরো অতিরিক্ত এডিবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
প্রধান প্রকৌশলী আরো বলেন, বর্তমান সরকারের অর্থের কোন অভাব নেই। উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান এই দেশ। আমরা যদি চলমান মহাসড়ক থেকে পিছিয়ে পড়ি তাহলে এলজিইডি’র অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা আমরা কেউ চায় না। এলজিইডি’র বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনগণের আস্থার কারণে উন্নয়নের মহাসড়কের যাত্রা অব্যাহত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে আরো বেশি বেশি প্রকল্প জমা দিতে প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রকল্প সততার সাথে বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে শতভাগ কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সরকারের যে উন্নয়ন কাজ এবং জনগণের প্রতি যে দায়বদ্ধতা, সে দায়বদ্ধতা মনে রেখে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। কেননা, জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন হয়। এটা ভুলে না গিয়ে মনে রেখে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় কাংখিত সেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। যদি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজকর্মে ত্র“টি বিচ্যুতি পাওয়া যায় সেগুলো শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ভুল-ত্র“টি সংশোধন পূর্বক এলজিইডি’র উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনগণের কাছে তুলে ধরতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী আরো বলেন, সকল ধরনের সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর আভাসভূমি গড়ে তুলতে এলজিইডি’র বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরো বেশি আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এতে করে ভবিষ্যত বংশধররা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী উন্নত দেশ উপহার পাবে। তিনি চলতি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ, কাজের গুনগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ সম্পন্নকরণ, জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সকল সড়ক রক্ষনাবেক্ষণা কাজ শুষ্ক মৌসুমে দ্রুতত সম্পন্নকরণ এবং জলবায়ু সহিষ্ণু পরিবেশবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণে কোনো অবস্থাতেই পাহাড় না কাটার উপর লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন।
দিনব্যাপী কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আশীষ কুমার পাল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর ইলিয়াস মোরশেদ, ঢাকা অঞ্চলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (নগর ব্যবস্থাপনা) আনোয়ার হোসেন, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী (মনিটরিং ও মূল্যায়ন) নুর মোহাম্মদ ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রক্ষণাবেক্ষণ) মো. মোশারফ হোসেন।
কর্মশালায় এলজিইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
উলে­খ্য যে, বর্তমান অর্থবছরে এলজিইডি’র প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে যার উলে­খযোগ্য অংশের কাজ হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহে। সরকারি অর্থায়ন ছাড়াও ওয়াল্ড ব্যাংক, এডিবি, জাইকা, সৌদি ফান্ড, ড্যাচ অর্থায়নে নগর, গ্রামীণ ও পানি সম্পদ উন্নয়নে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪০টি প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

Avatar photo

Published

on

“জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।

রবিবার সকাল ১০ টায় ফরিদপুর সদর, ঝিলটুলি, অম্বিকা মেমোরিয়াল হলরুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল মহানগর নারী বিষয়ক সম্পাদক অনামিকা হক এর সঞ্চালনায় ও ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক রূফায়দাহ পন্নী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১৫,২০,২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও টি এন সি সি এর সদস্য নাহার যুবায়ের কণা, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় আমির মোঃ আল আমিন সবুজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব মিয়া, হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় নারী সম্পাদক তাসলিমা ইসলাম এবং ফরিদপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মাহবুবুল আলম নিক্কন প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বলেন, নারীরা একটি জাতির অর্ধেক জনসংখ্যা। সেই নারীদেরকে পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি, প্রগতি সম্ভব নয়। জাতির কাক্সিক্ষত উন্নতি পেতে হলে নারীদেরকে যথাযথ যোগ্যতা ও মেধানুযায়ী সমাজে সকল ক্ষেত্রে অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হবে। উগ্রবাদ, ধর্মব্যবসা,অপরাজনীতি, হুজুগ, গুজব, ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ মানবজাতির কাছে তুলে ধরে আসছে হেযবুত তওহীদ। আর এ মহান কাজে পুরুষদের পাশাপাশি হেযবুত তওহীদের নারীরাও নিজেদের যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রেখে যাচ্ছে। হেযবুত তওহীদের নারীদেরকে মনে রাখতে হবে, ধর্মের নামে যাবতীয় জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা, বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে নারীকেই জাগতে হবে, জাগাতে হবে।

Continue Reading

Highlights

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখার শপথ কুমিল্লা হেযবুত তওহীদের

Avatar photo

Published

on

‘রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে জাতিকে নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কুমিল্লা জেলা শাখা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আগমন ফুড পার্ক এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন।

সাবেক কুমিল্লা জেলা সভাপতি ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল কবির ও লাকসাম উপজেলা সভাপতি মো. সুজন, লালমাই উপজেলা সভাপতি আবু রায়হানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা প্রকৌশলী রাকীব আল হাসান বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদেশী শক্তির অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এই দেশে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এ পর্যন্ত পশ্চিমা পরাশক্তি দেশগুলো ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়াসহ যেসব দেশে হস্তক্ষেপ করেছে সবগুলো দেশকে তারা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আরেক দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। কাজেই আমাদের যাবতীয় সহিংসতা ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ থেকে মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক নিজাম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো সংকটের সমাধান ইসলাম দিয়েই সম্ভব কিন্তু ইসলামের সেই প্রকৃত রূপ কারও কাছে নেই। মহান আল্লাহ দয়া করে সেটা হেযবুত তওহীদকে দান করেছেন। আমরা প্রকৃত ইসলামের আদর্শ দিয়ে একটা নোয়াখালীতে একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণ করে দেখিয়েছি। যে আদর্শ একটা ছোট্ট সমাজকে শান্তিপূর্ণ করতে পারে ইনশাআল্লাহ সেই আদর্শ দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ে তোলাও সম্ভব হবে। এই মহতী কাজে সকলকে আমরা সাথে চাই।

এরআগে এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন শাকিল। অনুষ্ঠানে লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

Continue Reading

Highlights

‘দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান’

Avatar photo

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে উগ্রবাদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেযবুত তওহীদের শীর্ষ নেতা ও ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। শনিবার দিনব্যাপী ময়মনসিংহে টাউনহল মোড়স্থ এ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মী সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি। “বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অস্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে ময়মনসিংহ জেলা হেযবুত তওহীদ।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি রহমত উল্লাহ রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের শীর্ষনেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সম্পাদিকা রোজিনা আক্তার, ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, শেরপুর জেলা সভাপতি মোমিনুর রহমান পান্না, জামালপুর জেলা সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোনা জেলা সভাপতি আব্দুল কায়ইয়ুম প্রমুখ।

ভায় হেযবুত তওহীদের ইমাম বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা ও সাম্রাজ্যবাদীদের কড়াল থাবা থেকে কোটি বাঙ্গালীকে রক্ষার জন্য দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যারা সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় মত্ত, তারা বাংলাদেশের মানচিত্র খাবলে খাওয়ার জন্য শকুনের মত থাবা বিস্তারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একটি মহান আদর্শের ভিত্তিতে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “বর্তমান সমাজ, অন্যায়-অশান্তি, মিথ্যা, প্রতারণা, মাদক ইত্যাদিতে পরিপূর্ণ। সমাজের এই অধঃপতনের মূল কারণ আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমদাতা হিসেবে না মানা। সমাজের এই দূরাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে মানবজাতিকে আবার আল্লাহকে ইলাহ এর আসনে বসাতে হবে। এককভাবে এই কাজ কখনোই সম্ভব নয়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই কাজে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।”

দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী তাদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতিকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে কামড়াকামড়ির এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ির এই রাজনীতি বন্ধ না হলে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। বিশ্বজুড়ে চলমান এই ভোগবাদী শাসন ব্যবস্থা, বৈষম্যমূলক অর্থ ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে বিশ্বময় চলমান যুদ্ধাবস্থা ও এর কারণে সৃষ্ট সঙ্কটময় পরিস্থিতির জন্য জাতিকে সতর্ক সচেনত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, লেবাসধারী এক শ্রেণির ভণ্ডআলেমদের স্বার্থবাদী উগ্র কর্মকাণ্ডের কারণে ইসলামের গায়ে আজ কালিমা লিপ্ত হয়েছে। আর এদের মুখোশ উন্মোচন করায় তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। তিনি উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না। হেযবুত তওহীদ সত্য নিয়ে এসেছে। মিথ্যার ধ্বংস এবার অনিবার্য। এসময় ধর্মব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অপপ্রচারের কড়া জাবাব দেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।

ইসলামের স্বর্ণযুগে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলের যুগে নারীরা মসজিদ থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান পর্যন্ত গিয়েছেন। তারা শালীনতার সাথে সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সকল কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে এক শ্রেণির ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি করে নারীদের ঘরবন্দী করেছে। ইসলাম নারীদের যে অধিকার মর্যাদা দিয়েছে তা হরণ করেছে। সকল মজলুম, অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের প্রকৃত অধিকার ফিরিয়ে দিতে হেযবুত তওহীদের আগমন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই বক্তা। এসময় তিনি সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আরও অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশ দেন।

বিভাগীয় কর্মী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ জেলা নারী সম্পাদিকা সাথী আক্তার পলি, নুসরাত জাহান পলি, পাপিয়া আক্তার, সুরমা আক্তারসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Continue Reading