সতীর্থদের জন্য সাকিবের সতর্কবার্তা
টিভি খুললেই বিজ্ঞাপন। আর মাঠের মতোই সেই বিজ্ঞাপনেও অবাধ বিচরণ ক্রিকেটারদের। শুরুর দিকে সাকিব আল হাসানকেই বেশি দেখা যেত। সাম্প্রতিক সময়ে উপস্থিতি মেলে তরুণ ক্রিকেটারদেরও। একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কি? সাকিব অবশ্য বাকিদের হাতেই ছেড়ে দিলেন সিদ্ধান্তটা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই তারকা ক্রিকেটার শুধু নিজের দেশেই নন, পুরো ক্রিকেট দুনিয়াতেই সমানভাবে জনপ্রিয়। সে কারণে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনে অনেক আগে থেকেই পরিচালক ও পণ্য সংশ্লিষ্টদের আগ্রহের কেন্দ্রে সাকিব। এখন অন্যান্য ক্রিকেটাররাও হাঁটছেন একই পথে। ক্রিকেট মাঠের এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই ক্রিকেটারদেরকে শোবিজে অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে। ক্রিকেটের বাইরে এমন বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে গণমাধ্যমকে সাকিব জানান, ওরা নিজেরাই সবকিছু বুঝতে পারবে। তবে এ ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকলে ভালো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমি যতই বলি আর ওরা যতই শুনুক, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা তেমন কাজে আসে না। ওরা যা-ই করবে বুঝে শুনে করবে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের কথায় ওরা আশ্বস্ত হয়, আস্থা রাখতে পারে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়। তারপরও দু-একটা ভুল হবেই। যতই চেষ্টা করুক, এটা এড়ানো সম্ভব নয়। তবে সেই ভুল থেকে যেন শিক্ষাটা নিতে পারে।’ সাকিব আরো বলেন, ‘অনেক প্রলোভন থাকবে। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করবে তারা নিজেদের কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেটার ওপর। কারণ দিন শেষে ক্যারিয়ারটা ওদেরই।’ ক্রিকেটের বাইরে শোবিজে কাজ করা নিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার জানান, পেশা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে এই নয় যে, এটাই জীবনের সবকিছু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘যে সময়টাতে কাজ থাকে না, তখন যাদের সঙ্গে পরিচয় আছে তাদের সঙ্গে ঘোরাফেরা করি, বসি, আড্ডা দিই। এগুলো বাইরের খেলোয়াড়দের দেখে শিখেছি। এই জিনিসটা তাদের মধ্যে অনেক বেশি এবং এ কারণেই তারা অনেক নির্ভার থাকতে পারে। সামাজিক জীবন তারা অনেক বেশি উপভোগ করে।’ সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজা ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমসহ তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন ছোটপর্দায় নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এস