Connect with us

চট্টগ্রাম বিভাগ

সোনাইমুড়ীতে মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Avatar photo

Published

on

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ফুটবল খেলার জের ধরে মো. সাইমুন (১৩) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার বড় ভাই শিমুলকে (১৬) জখম করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (০৯ জুন) রাত ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী বজরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মো. সাইমুন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আলোকপাড়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় মাঠে আলোকপাড়া গ্রামের সাইমুনদের সিদ্দিক উল্যাহ হাজী বাড়ীর সঙ্গে আশরাফ আলী বেপারী বাড়ীর একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলা চলাকালে একটি গোল হওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বির্তকের ঘটনা ঘটে। 

এর জের ধরে সাইমুনদের উপর ক্ষিপ্ত হয় প্রতিপক্ষের মীর হোসেন সহ কয়েকজন। সন্ধ্যায় মাগরীবের নামাজ পড়ে সাইমুন ও তার ভাই শিমুল বাজারে যাওয়ার পথে তাদের গতিরোধ করে একই এলাকার এছাক মিয়ার ছেলে মীর হোসেন সহ ৮-১০জন। এসময় সাইমুন ও শিমুলের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর এক পর্যায়ে মীর হোসেন একটি ধারালো ছুরি দিয়ে সাইমুনের পেটে আঘাত করে এবং তাদের দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। 

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী বজরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইমুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শিমুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।    

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত মীর হোসেন সহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চট্টগ্রাম বিভাগ

প্রবাসীর স্ত্রীকে চড়থাপ্পড়: হামলার শিকার নারী কাউন্সিলর

Avatar photo

Published

on

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রাহিমা বেগমের বিরুদ্ধে সালিসি বৈঠকে ডেকে নিয়ে পারভীন বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরে কাউন্সিলর নিজেই হামলার শিকার হন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১৫ নম্বর ওয়ার্ড) পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার ফারুক ড্রাইভারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানা হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। আহত রাহিমা ও পারভীন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আটকরা হলেন- দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র ফারদিন ইয়াসিন অনিক, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র মেহেদী হাসান ও নিশাদ।

রাহিমা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার বাবরের স্ত্রী। আহত পারভীনের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার আবুধাবি প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী।

আহত পারভীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৭-১৮ দিন আগে পাশ্ববর্তী এক নারীর সঙ্গে পারভীনের ঝগড়া হয়। ওই নারী কাউন্সিলর রাহিমার কাছে বিচার দেয়। এতে হঠাৎ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহিমা তাকে লিপি নামে এক নারীকে দিয়ে সালিসের কথা বলে ডেকে নেয়। কিন্তু এর আগে সালিসি বৈঠকের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। লিপির বাসায় গেলে ছেলে ও ভাগিনাসহ পারভীনকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন কথা নিয়ে রাহিমা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ও ভাগিনার সামনেই তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। একপর্যায়ে দেওয়ালের সঙ্গে পারভিনের মাথায় সজোরে আঘাত করে রাহিমা। এটি সহ্য করতে না পেরে পারভীনের ছেলে ফারদিন ইয়াসিন অনিক ও ভাগিনা মেহেদি হাসান বাধা দেয়। এনিয়ে ঘটনাস্থলে হাতাহাতি হয়। পরে রাহিমা ফোন দিয়ে লোকজন নিয়ে এসে ফের পারভীন, তার ছেলে ও ভাগিনাকে মারধর করায়। এতে বাধা দিতে গেলে পারভীনের বাবা কফিল উদ্দিন, ভাই পারভেজ হোসেন, বোন লিপি আক্তারকেও মারধর করেছে রাহিমার লোকজন।

রাহিমার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক নারীর সঙ্গে ঝগড়ার ঘটনায় পারভীনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই পারভীনের লোকজন এসে রাহিমার ওপর হামলা করে। এতে পারভীন মাথায় আঘাত পায়। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মারামারির ঘটনায় দু’জন নারী হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় বিস্তর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে বলা হয়েছে।

Continue Reading

চট্টগ্রাম বিভাগ

সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত কাঁচামাল বিক্রির টাকাসহ আটক ২

Avatar photo

Published

on

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত সবজি বিক্রির এক লাখ টাকা ও ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ চক্রের দুই সদস্য আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার ওয়াহিন উদ্দিন (৩০) ও রুবেল (৪০)।

গতকাল সোমবার সকালের দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন (৪৫) লক্ষীপুরের রামগতি থানা এলাকার বিভিন্ন চাষীদের নিকট হইতে ১০ টন ঢেঁড়শ ক্রয় করে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে বোঝাইকৃত ট্রাকটি নিয়ে সোনাইমুড়ীর বগাদিয়া সাকিনস্থ চেরাং বাড়ীর সামনে পৌঁছলে তাদের পথরোধ করে ছিনতাইকারী চক্রটি। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সবজি বোঝাই ট্রাক, নগদ টাকা, দুটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। এসময় চক্রটি তাদেরকে সিএনজিতে উঠাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া হাত পা বেধে ফেলে চলে যায়।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক জানান, ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ দিলে ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে চট্টগ্রাম এর কোতোয়ালী থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগীতায় ০২ জন ডাকাতকে আটক করে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢেঁড়শ বিক্রির এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং ছিনতাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক।

Continue Reading

চট্টগ্রাম বিভাগ

হেযবুত তওহীদ কর্মীদের মারধর: ক্ষমা চেয়ে আপোষ করলো চরমোনাই অনুসারীরা

Avatar photo

Published

on

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে অন্যায়ভাবে হেযবুত তওহীদ কর্মীদেরকে মারধর করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে চরমোনাই অনুসারীরা। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করে তারা।

রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানার গোলঘরে একটি শালিস বৈঠকে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চেয়ে আপোষ মীমাংসায় স্বাক্ষর করেন।

হেযবুত তওহীদের কর্মী মোহাম্মদ রাসেল মিঠু ও গোলাম রাব্বানি রাসেল জানান, আমরা মোটর মেকানিক হিসেবে হাজীগঞ্জ বাজারের পাইলট স্কুলের সামনে একটি দোকানে কাজ করি। গত ৯ মার্চ বাদ-মাগরিব চরমোনাই অনুসারী মাদ্রাসার ছাত্র রিফাত, হৃদয়, সিয়ামসহ ১০-১২ জনের একটি দল হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে অহেতুক বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট কথা তুলে ধরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমরা হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে রবিবার সন্ধ্যায় এসআই মো. আজিজুর রহমান উভয় পক্ষকে ডেকে থানার গোল ঘরে একটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চাইলে আমরা আপোষ মীমাংসা হই।

শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠু, কাজী বিল্লাল হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

হেযবুত তওহীদের চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দীন জানান, আমাদের আন্দোলনটি একটি অরাজনৈতিক। দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি, ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলামের আদর্শ তুলে ধরে গণসচেতনতার লক্ষে সারাদেশে হাজার হাজার সভা, সমাবেশ, সেমিনার, শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এ আদর্শিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন গুজব-হুজুগ রটিয়ে আমাদেরকে হয়রানি সহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। ওইদিন হাজীগঞ্জ বাজারেও আমাদের কর্মীদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটায়। ধর্ম এসেছে মানবতার জন্য। আমরা সে মানবতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চরমোনাই অনুসারীরা ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মিমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করেছে।

Continue Reading