বিনোদন
সোমেশ্বর অলির গল্প ‘পেণ্ডুলাভ’
বিনোদন ডেস্ক:
বহুল জনপ্রিয় ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ গানের রচয়িতা কবি ও গীতিকার সোমেশ্বর অলির রচনায় নির্মিত হচ্ছে নাটক পেণ্ডুলাভ। এটি নির্মাণ করছেন মাহবুব নীল। ৯ মে থেকে উত্তরায় শ্যুটিং শুরু হয়েছে টেলিফিল্ম ‘পেণ্ডুলাভ’ এর। এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, প্রভা, পিয়া বিপাশা, টয়া, তানজিকা তিশা, মুনিরা মিঠুসহ অনেকে। এ প্রসঙ্গে সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘এটি আমার প্রথম কোনো কাজ। যেটা থেকে ছোটপর্দার জন্য টেলিফিল্ম নির্মিত হচ্ছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য আনন্দের সংবাদ। বেটে বলে অর্থে মিলে যাওয়াতেই এই কাজটি করেছি।’ গল্পটি গড়ে ওঠেছে প্রেমের জটিলতাকে কেন্দ্র করে। যেখানে মূল চরিত্র রোদ-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। ছাত্রজীবন শেষ হলে চাকরিতে ঢুকতে হবে- এমনটা মনে করে না রোদ। এমন ফুরফুরে জীবন-যাপন করছে সে। তার জীবনে কোনও ক্রাইসিস নেই। সহপাঠী তামান্নার সঙ্গে প্রেম করে সে। তামান্নার মা রোদকে পছন্দ করে না- এই সামান্য অপছন্দের কারণে রোদের সঙ্গে ব্রেকআপ করে তামান্না। বিচ্ছেদ সইতে না পেরে আÍহত্যা করতে যায় রোদ। আÍহত্যার বদলে আরেকটি প্রেমে পড়ো- এই তত্ত্ব বাতলে রোদের জীবনে আসে অবন্তী। এবার অবন্তীর প্রেমেই পড়ে সে। কিছুদিন ভালো কাটে। এই প্রেমেও বিচ্ছেদ লেখা ছিলো রোদের ভাগ্যে! আবার ভেঙে পড়ার পালা রোদের। কিন্তু তা আর ঘটেনা। এবার সে নিজে থেকে প্রেমিকা খোঁজার মিশনে নামে সে। ‘দেখে শুনে বুঝে প্রেম করব পদ্ধতি অবলম্বন করে সে। এক বন্ধুর পার্টিতে রোদের পরিচয় হয় বিন্তির সঙ্গে। ভালোলাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। এদিকে রোদ বেশ সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে দিনদিন। বিন্তির প্রেম চলছিলো মোটামুটি। ঝগড়াঝাটি করে হঠাৎ দেশের বাইরে পড়তে চলে যায় বিন্তি। আরেকটা ধাক্কা আসে রোদের জীবনে। কেটে যায় দুটি বছর। ততদিনে রোদের জীবন অনেক পাল্টে যায়। নিজের ঘরের বাইরে বের হয়না। হঠাৎ সে তামান্নার ফোন পায়। তার জীবনে তামান্না ফেরত আসে। দুএকদিন পরে ফেরত আসে অবন্তী। এর পরপরই আসে বিন্তিও। রোদের কাছে সবাই ক্ষমা চায়। রোদ এবার তিনজনের সঙ্গে নতুন করে প্রেম শুরু করে। রোদের জন্মদিনের দিন ঘটে রক্তক্ষয়ী এক ঘটনা। এমন একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে টেলিছবি ‘পেণ্ডুলাভ’। ‘পেণ্ডুলাভ’ টেলিছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্র নিশো বললেন, ‘এখনকার সময়ে তরুণদের সঙ্কটগুলো তুলে ধরা হয়েছে এখানে। গল্পটি সাধারণ হলেও এর উপস্থাপনাশৈলী চমৎকার। আমাকে চারটি গেটআপে দেখা যাবে। সব মিলিয়ে কাজটি বেশ উপভোগ করেছি।’ নির্মাতা মাহবুব নীল জানান, এটি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নির্মাণ করা হচ্ছে এটি। টেলিছবিটি প্রযোজনা করেছেন সাদ্দাম বেপারী।