হজ করবেন সাড়ে ১১ লাখ মহিলা
এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন ১১৭ দেশের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ মহিলা। এদের বেশির ভাগই বিবাহিতা। ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ৫১ হাজার ৭৫২ জন হজপ্রত্যাশী সৌদি আরব এসেছেন। মহিলাদের জন্য মক্কা ও মদিনায় পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। মক্কায় নিচ তলায়, প্রথম তলায়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বেষ্টনী দেওয়া নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি মদিনায় মসজিদে নববিতেও মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে।
সৌদি সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, এর পরের তালিকায় রয়েছে, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তান। মহিলাদের অনেকে কোলের সন্তানকে নিয়ে এসেছেন।গতকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বের ১১৭টি দেশের ৩২ লাখ ১৭ হাজার ৭২ জন হজপ্রত্যাশী মক্কা ও মদিনায় পৌঁছান। সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টালের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইরান, বসনিয়া, ব্রুনাই ও তাজিকিস্তান থেকে মহিলা হজযাত্রীর সংখা বেশি। এ ছয় দেশ থেকে গড়ে ৫০ হাজার মহিলা হজযাত্রী আসেন। বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ করবেন। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৭০৩ জন মহিলা। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। পাকিস্তানের হজযাত্রী তাবাসুম ফাতেমা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাত বছর আগে বিয়ে হয়েছে।
আর্থিক কারণে এতদিন হজ পালন করতে পারিনি। এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলেই হজে এসেছি। ইরানি তরুণি বেগম কাউসার সুলতানা বলেন, আমি মা হতে চাই এ কারণে মহান আল্লাহপাকের দোয়া নিতে হজে এসেছি। আমাদের দেশে বিবাহিত ও অবিবাহিতদের মধ্যে বিয়ের আগে হজ করার সামাজিক বিধান রয়েছে। পাকিস্তানের তরুণী জেসমিন খান বলেন, আমি বিয়ে করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কারণে হজে এসেছি। অপর দিকে বাংলাদেশের হজপ্রত্যাশীদের শতকরা ৯৮ ভাগের বয়স ৮০ বছরের অধিক। বাংলাদেশের মহিলা হাজীরাও বয়সী।বাংলাদেশের মহিলা হাজী নুরুন নাহার বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে হজ আমার জন্য ফরজ। এ কারণে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছি। মালয়েশিয়ার মহিলা হজযাত্রী মাহমুদা বেগম মিমি বলেন, একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে আমি আয় করছি। ফলে হজ করা আমার জন্য ফরজ। তাই ফরজ কাজ সমাধা করতে এখানে এসেছি। পাকিস্তানের অপর হজযাত্রী নার্গিস খান বলেন, মহান আল্লাহ আমাকে পুত্রসন্তানের মা করেছেন। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সন্তানকে কোলে নিয়ে হজের কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছি।