হাতীবান্ধায় একাদশ শ্রেণীর ছাত্র বিষ্ণু প্রসাদ সফল পটল চাষী
রিকো,হাতীবান্ধা: পড়ালেখার পাশাপাশি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় প্রত্যন্ত পল্লীতে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র বিষ্ণু প্রসাদ পটল চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে।
সরজমিন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আমঝোল গ্রামের কুমদ চন্দ্র রায়ের পুত্র দইখাওয়া টেকনিক্যাল কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়রত বিষ্ণু প্রসাদ রায় লেখাপড়ার পাশাপাশি কৈশর থেকে কৃষিতে মনোযোগি ছিল। বাবার সংসারের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বিষ্ণুই বড় ছেলে। মধ্যবিত্ত কৃষক জমি স্বল্পতা হলেও অত্যাধুনিক পদ্ধাতিতে সর্বপ্রকার ফসল উৎপাদনে সক্রিয়। এমতাবস্থায় গত প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে বিষ্ণুর বাবা এক পরোকীয়ার ফাঁদে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে বিষ্ণু ও মেয়ে প্রথম স্ত্রী সহ সকলের অজান্তে চার সন্তানের জননী পরোকীয়া প্রেমিকের প্রেমে মাতয়ারা হয়ে অজানার পথে পারি জমান। এ সময় বিষ্ণু তার মা ও ছোট বোনকে নিয়ে বিপাকে পরে যায় জীবিকা নির্বাহের চাপে। ফলে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিষ্ণু কৃষিকে বেঁচে নিয়ে মনোযোগী হয়ে ওঠে। পড়ে ধান, পাট, গম, ভূট্টার পাশাপাশি রবি শস্য ও সবজি চাষে আগ্রহী হয়। এমনি ভাবে একদিকে লেখাপাড়া অন্যদিকে মা বোনসহ তিন সদস্য পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে চলছে। বিষ্ণু একমাত্র উপার্জনকারী হলেও শত বেদনা এবং দন্যদশায় থাকলেও কোনটিও তাকে দমাতে পারেনি লেখাপড়া থেকে। লেখাপড়ার পাশে কৃষিতে ঝুঁকে পরে উঁচু এবং দোআশ মাটির ১৪ শতাংশ জমিতে পরীক্ষা মূলক পটল চাষ করে। এতে লাভ জনক ফসল হিসেবে বুঝতে পেরে চলতি বছরে ৪০ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিষ্ণু সফলতা অর্জন করেছে। সরজমিনে শুক্রবার এ প্রতিনিধিকে বিষ্ণু প্রসাদ জানান, পটল একটি লাভ জনক ফসল , কম খরচে বেশি লাভ, ৪০ শতাংশ জমিতে ৮০ হাজার টাকার পটল বাজারজাত করেছি। এতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৫৯ হাজার টাকা লাভ করে সফলতা অর্জন করেছে। বিষ্ণু আরও বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি পটল এখনো ৩৫/৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। আগামীতে সে দ্বিগুন জমিতে পটল চাষ করবে এবং একই সাথে সাথী ফসল হিসাবে আলু চাষ করবে বলে জানান। উলেখ্য, বিষ্ণু আর্থিক সহযোগিতা যোগান পেলে কৃষিতে বেশি মনোযোগী হয়ে সর্বপ্রকার সফল উৎপাদনের সক্রিয় হবে বলে জানান । বিডিপত্র/আমিরুল