২০১৫ বিশ্বকাপ কি দক্ষিণ আফ্রিকার?
স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিকেটে স্বপ্নভঙ্গের উপাখ্যানের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ প্রোটিয়াসদের জন্য রীতিমত এক আধুরা কাহিনী। তবে আসন্ন ২০১৫ বিশ্বকাপে দৃশ্যপট বদলাতে পারে। বিশ্বকাপ শূন্যতা পূরণ হতে পারে ক্রিকেটের অন্যতম এই পাওয়ার হাউসের। যদিও সারা বছর ভালো খেলেও বিশ্বকাপে গেলেই পা হড়কায় দক্ষিণ আফ্রিকার। এজন্য জ্যাক ক্যালিস-গ্যারি কারস্টেন-জন্টি রোডসের দেশের নামের সঙ্গে ‘চোকার্স’ অপবাদ সেটে গেছে। কিন্তু তারপরেও শিষ্যদের ওপর ভরসা রাখছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। প্রোটিয়া কোচের বিশ্বাস এবারই নিজেদের ‘সি’ ট্যাগ (চোকার্স) কাটাবে তার শিষ্যরা। হাতে ওঠাবে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি। এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা কেন শূন্যতা কাটাতে পারে তার যুক্তিসঙ্গত কারণও আছে। দলটির ১৫ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকার দিকে তাকান। বিশ্বের এক নাম্বার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স তাদেরই শিবিরে। যিনি এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নাকানিচুবানি খাইয়ে ৩১ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিশ্বের দ্রুততম শতক হাঁকান। শুধু কি ভিলিয়ার্স, এই দলেই খেলে থাকেন হাশিম আমলা- বিশ্বের তৃতীয় সেরা ব্যাটসম্যান। ১০৬ ওয়ানডে খেলার পরও যার গড় ৫৬-এর কাছাকাছি। আছেন কিলার ডেভিড মিলার, ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও প্রতিভাবান কুইন্টন ডি ককও। বোলিংয়েও পিছিয়ে নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। স্টেইনগান ডেল স্টেইনের পাশে থাকবেন মরনে মরকেল, কাইল অ্যাবট, ওয়েন পারনেল ও অ্যারন ফাসিঙ্গোরা। এই রকম তারার একাদশ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি চাইতেই পারে? এটা অলিক বিক্ষণ নয়, যদি না তারা তাদের ‘অ্যাকিলিস হিল’ অর্থাৎ চিরকালীন দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে বড় ম্যাচে ভেঙে না পড়ে। এবার কি প্রোটিয়াসরা ২০১১ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হার, ২০০৭ সালে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পা হড়কানো এবং রূপকথার অংশ হয়ে দাঁড়ানো ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ড্র করে ছিটকে পড়া।
ওডিআই র্যাংকিং: ৩ (অস্ট্রেলিয়া প্রথম, ভারত দ্বিতীয়)
ওয়ার্ল্ড কাপ রেকর্ড:
১৯৯২: ইংল্যান্ড, সেমিফাইনাল
১৯৯৬: কোয়ার্টার ফাইনাল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯৯৯: অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনাল
২০০৩: প্রথম রাউন্ড
২০০৭: সেমিফাইনাল, অস্ট্রেলিয়া
২০১১: কোয়ার্টার ফাইনাল, নিউজিল্যান্ড।