জাতীয়
অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপর হামলাকারী ফয়জুল মুখ খুলেছে
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফয়জুল আরো জানায়, হত্যার নির্দেশনা পাওয়ার পর সে সিলেটের মদিনা মার্কেটের একটি জিমে শারীরিক প্রশিক্ষণের জন্যও ভর্তি হয়েছিল। কীভাবে হামলা করতে হবে এবং কোথায় আঘাত করলে দ্রুত মৃত্যু হতে পারে, ‘দাওয়াহ ইলাল্লাহ’ ফোরামে সেসব কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল।
এছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরে সাইকেল চালিয়ে ওই এলাকা রেকি করে ফয়জুল। ওই সাইকেলটিও জব্দ করেছে পুলিশ। এদিকে হামলার চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর সিলেটের জিন্দাবাজারের আল-হামরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে কমান্ডো নাইফটি (চাকু) কেনে ফয়জুল। এই হামলায় ফয়জুল যে একা ছিল না সেটা এখন নিশ্চিত পুলিশ।
ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ফয়জুলকে ‘সেল্ফ র্যাডিক্যালাইজড’ বলেই মনে হচ্ছে। তবে সে দাওয়ায় ইলাল্লাহসহ আনসারুল বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন অনলাইন ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এসব ফোরামে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করতে নানারকম উসকানিমূলক আলোচনা হতো। এসব থেকেই সে হত্যাচেষ্টায় উদ্বুদ্ধ হতে পারে। তিনি বলেন, ফয়জুলের কয়েকজন সহযোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া সুমন নামে ফয়জুলের এক সহকর্মীও পলাতক।
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে তারা ফয়জুলের ব্যবহূত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধারের পর ঘেঁটে দেখেছেন। সেখানে আল-কায়েদা এবং আইএসের নানারকম ভিডিও, ইরাক-সিরিয়ার ভিডিওসহ নানারকম জঙ্গিবাদি প্রপাগান্ডা প্রচারণার উপাদান পাওয়া গেছে। তবে এসব উপাদান অন্য জায়গা থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।