Connect with us

দেশজুড়ে

অবশেষে দেশে ফিরলেন ১৫৯ বাংলাদেশি

Published

on


মিয়ানমার থেকে ১৫৯ বাংলাদেশিকে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫৯ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে মংডুতে সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠকে বসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। বৈঠক শেষে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বিজিবির কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের কক্সবাজার সংস্কৃতি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে কক্সবাজারের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে সকালে মংডুতে যান বিজিবির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম রবি। আর মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিচালক চ নাইং।

এর আগে গত ৩০ জুলাই এদের ফেরত আনার কথা থাকলেও এর আগের দিন থেকে কক্সবাজার সহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আঘাত হানার আশংকায় স্থগিত করা হয়। পরে দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা করে এদের ৫ আগস্ট দেশে ফেরত আনার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এরমধ্যে মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পরবর্তী সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কারণে ৪ আগস্ট সেই ১৫৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনার প্রক্রিয়া দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত করা হয়।

তবে ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারণ উল্লেখ না করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল অনিবার্য কারণ বশত ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর ন্যাশনাল প্রোগাম অফিসার আসিফ মুনীর জানান, দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫৯ জন ১০ জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে নরসিংদীর ৮০ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ১২ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, শরীয়তপুরের ৩ জন, নওগাঁর ২ জন, নাটোরের ১ জন ও বরিশালের একজন বাসিন্দা রয়েছে। এদের মধ্যে শিশু-কিশোর রয়েছে ১৬ জন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ জন এবং ২৯ মে আরো ৭২৭ জন অভিবাসী প্রত্যাশীদের উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী। যার মধ্যে ৮ জুন ও ১৯ জুন এবং ২২ জুলাই তিন দফায় দেশে ফেরত আনা হয় ৩৪২ জনকে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *