দেশজুড়ে
অবহেলিত সালথার রামকান্তুপুর ইউনিয়নবাসী
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের সাথে সংযুক্ত থাকা রামকান্তুপুর ইউনিয়নে এখনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এ ইউনিয়নের মধ্যে সালথা থানা, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস ও কার্যালয় রয়েছে। তবে এসব অফিস ও কার্যালয় রয়েছে ইউনিয়নের এক পাশের কিছু অংশের মধ্যে। ইউনিয়নটি মধ্যে সরকারি-বেসরকারী বড় বড় অফিস ও কার্যালয় থাকলেও জন-সাধারণের চলাচলের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই খারাপ যে পায়ে হেটে চলাচল করা মুশকিল। যে কারণে আদিমযুগের মত নৌকা যাতায়াত করছেন অনেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০টি বিশাল গ্রাম নিয়ে গঠিত এ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র একটি পাঁকা সড়ক রয়েছে। তাও আনুমানিক ৩ কিলোমিটার হতে পারে। বাকি সব কাঁচা রাস্তার মধ্যে ১-২টি রাস্তা এসবি করণ করা হলেও সেসব রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ। কারণ ইটের রাস্তার ইটগুলো এখন আর রাস্তা নেই, রাস্তাগুলোর দু-পাশ ভেঙ্গে সব ইট রাস্তার পাশে খাতে পড়ে আছে। আর সুযোগ বুঝে এসব পরিতক্ত ইট চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিয়নের মধ্যে সালথা বাজার থেকে নকলহাটি পর্যন্ত ৫, রামাকান্তুপুর বাজার থেকে ময়েনদিয়া বাজার পর্যন্ত ৬, সালথা কলেজ রোড় থেকে বাহিদয়া গ্রাম পর্যন্ত ৪, রামকান্তুপুর বিশ্বাস বাড়ি থেকে মদনদিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৪ ও সালথা খেওয়াঘাট থেকে নিধুপট্টি গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা এতো খারাপ যে বৃষ্টি হলেও এসব রাস্তা দিয়ে ভ্যান চলাচল তো থাক দূরের কথা পায়ে হেটেও চলাচল করাও সম্ভাব হয় না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় জন-প্রতিনিধিরা অবহেলিত এ ইউনিয়নে নানা ধরণের উন্নয়নের আশ্বাস দিলেও অদ্যাবধি কেউ তা পূরণ করতে পারেনি। সবাই শুধু নিজেদের চিন্তা করে পকেট ভারি করেছে, ইউনিয়নের উন্নয়নের চিন্তা কোন জন-প্রতিনিধি করেনি।
নজরুল ইসলাম নামে রামকান্তুপুর গ্রামের এক সমাজ সেবক বলেন, এ ইউনিয়নের মধ্যে শুধু রাস্তা খারাপ নয়, যে কয়কটি ব্রীজ আছে, তার একটির গোড়েও মাটি নেই। এর মধ্যে রামকান্তুপুর-ময়েনদিয়া রাস্তার তালুকদার বাড়ির সামনে একটি ব্রীজের দু-পাশের রেলিং ভেঙ্গে পড়ে গেছে গত ৫ বছর আগে। অথচ ঝুকিপূর্ণ ব্রীজটি এখনো সংস্কার করা হয়নি। কোন কোন স্থানে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে সাধারন মানুষকে। এছাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডেসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুতবিহীন এসব গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ পেতে একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোন কাজ হয়নি। উন্নয়নের স্বার্থে এ ইউনিয়নের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া জরুরী বলে মনে করেন ইউনিয়নবাসী।
রামকান্তুপুরের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী লিঠু বলেন, এতো দিন অবহেলিত ছিল এ ইউনিয়নবাসী। স্থানীয় সাংসদ সদস্যের সহযোগিতায় এ ইউনিয়নকে উন্নত করা হবে।