Connect with us

দেশজুড়ে

আইসিটি আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই রংপুর

Published

on

রংপুর প্রতিনিধিঃ রংপুর জেলার কোতয়ালী থানায় দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা একটি মামলায় আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), রংপুর পুলিশ। ২৭ ডিসেম্বর (মঙ্গল বার) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধমে পিবিআই রংপুরের সাব ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরানের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার জোড়গাছ ব্যাপারী পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতার কৃত আসামী চিলমারী থানার জোরগাছ ব্যাপারীপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শামীম আহম্মেদ @ রিপন (২৭)।

পিবিআই রংপুর অফিস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, রংপুর জেলার কোতয়ালী থানার, ইসলামবাগ এলাকার আবুল কালামের মেয়ে কামরুন্নাহার কাকলী আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অত্র মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত কোতয়ালী থানাকে মামলা রুজু করে পিবিআই রংপুর জেলাকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। (মামলা নং-২৩, তাং- ০৬/১২/২০১৬ ইং)

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, মামলার আসামী শামিম আহম্মেদ @রিপনের সাথে কাকলী আক্তারের টিউশনির মাধ্যমে প্রথমে পরিচয়, প্রেম ভালোবাসা এবং পরবর্তীতে গত ০১/০৮/২০১৪ ইং তারিখে মুসলিম রেজিস্ট্রি কাবিননামা মূলে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার কারনে এক পর্যায়ে গত বছরের ২৪/০৫/২০১৫ ইং তারিখ মামলার অভিযোগকারিনী কাকলী বেগম তার স্বামীকে খোলা তালাক দেন।

তালাকের কিছুদিন পর মামলার আসামী শামীম আহম্মেদ তার স্ত্রীর নাম্বার ফেসবুকে সার্চ দিয়ে পেয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে এবং মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কিছুটা সুসম্পর্ক তৈরি হয় এবং ফেসবুকে চ্যাটের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়।

এর মধ্যে তাদের মধ্যে পুনরায় সম্পর্কের টানাপোড়ান তৈরি হলে এবং কাকুলী আক্তার আর শামীমের সাথে যোগাযোগ স্থাপন না রাখতে চাইলে শামীম তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ফেসবুকে আজব মানুষ কাকলী, কেয়ামত জ্বীন, মনের মানুষ প্রভৃতি নাম দিয়ে ফেক আইডি খোলে এবং তার নিজের ব্যক্তিগত আইডি শামিম আহম্মেদ থেকে কাকুলী আক্তারের ফেসবুক আইডি স্নিগ্ধ সকালের সাথে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং তাতেও কাকলী আক্তার সাড়া না দিলে তিনি কাকলী আক্তারের একান্ত একটি অশ্লীল ছবি তার ইনবক্সে পাঠিয়ে সেটি ফেসবুকে পোষ্ট করে সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দেন এবং উক্ত ছবিটি আজব মানুষ কাকলী নামের আইডিতে পোষ্ট করে পরবর্তীতে সেই পোষ্টটি ডিলিট করে দেন।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে সুচতুর শামিম আহম্মেদ উক্ত আইডিটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই রংপুর পুলিশের এসআই সালেহ ইমরানের কাছে এসব তথ্য জানান। বিডিপত্র/আমিরুল

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *