খেলাধুলা
আগামীকাল ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-চিলি
সান্তিয়াগোর এস্তাদিও মনুমেন্টাল গলা ফাটাবে সানচেজ-ভিদালদের জন্যই। কিন্তু ওপার থেকে আকাশি-নীল জার্সি গায়ে তো অনেকেই আসবেন। এক দিকে চিলির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বড় ট্রফির হাতছানি, আরেক দিকে আর্জেন্টিনার ২২ বছরের খরা ঘোচানোর অপেক্ষা। হাভিয়ের মাচেরানো জানেন, এমন একটা দ্বৈরথে দুই দেশের তিক্ত ইতিহাস আগুনে ঘি ঢালতেই পারে। সে জন্যই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আগেভাগেই বলে দিলেন, ‘আমি আশা করছি মানুষ বুঝবে ফুটবল একটা খেলা, যুদ্ধ নয়। ইতিহাস ইতিহাসই। খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানো আমাদের মোটেই উচিত হবে না। চিলি-আর্জেন্টিনা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ, অবশ্যই আমাদের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।’
দুই দিন আগের ঘটনাটাই বোধ হয় ভাবিয়ে তুলেছে মাচেরানোকে। পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর সান্তিয়াগোর রাস্তায় সমর্থকদের উল্লাসটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দাঙ্গা পুলিশ জলকামান আর কাঁদানে গ্যাস দিয়ে উন্মত্ত সমর্থকদের নিরস্ত করতে বাধ্য হয়। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। কাল ফাইনালে উত্তেজনাটা আরও বাড়াটাই স্বাভাবিক। মাচেরানো তাই আহ্বান জানিয়েছেন, ‘আমরা যদি আগ্রাসন ও সহিংসতা বেছে নিই, আমরা শ্রদ্ধার সেই জায়গাটা হারাব। খেলা হচ্ছে উপভোগের জিনিস, এটা কোনো যুদ্ধ নয়।’ মাচেরানোর কথার প্রতিধ্বনি চিলির ডিফেন্ডার ইউজেনিও মেনার মুখেও, ‘এই ফাইনালটা সবাই দেখতে যাচ্ছে। কিন্তু এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই দল পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে।’
তবে মাঠের লড়াইয়ে যে দুই দলের কেউ কাউকে ছাড় দেবে না, সেটা না বললেও চলছে। আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে যেভাবে খেলেছে, তাতে শিরোপাটা মেসিদের হাতেই দেখছেন অনেকে। কিন্তু নিজেদের মাঠে চিলিও ছেড়ে কথা বলবে না। চিলি ডিফেন্ডার হোসে রোহাসের কথাটা জেনে রাখুন, ‘তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ফেবারিট হওয়াটাই জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। আমরা নিজেদের মাঠে খেলছি, সমর্থকেরা আমাদের পেছনেই আছে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’ তবে রোহাস না মেনে পারছেন না যে জিততে হলে চিলিকে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে, ‘আমাদের শতভাগ ঢেলে দিতে হবে। আর্জেন্টিনা খুবই শক্তিশালী, কিন্তু কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের ক্ষুধা আছে, দেশের জন্য কিছু জয় করার ইচ্ছা আছে।’ এএফপি।