আন্তর্জাতিক
আজ ৭০ তম হিরোশিমা দিবস
আজ ৭০ তম হিরোশিমা দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র।জাপানের হিরোশিমা শহরে স্থানীয় সময় সকাল আটটা ১৫ মিনিট। ভয়ংকর নির্দেশটা আগেই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। বাকি ছিল শুধু বাস্তবায়ন। বোমারু বিমান এনোলা গে বয়ে নিয়ে এল গণবিধ্বংসী সেই মারণাস্ত্র। হিরোশিমায় ফেলা হলো আণবিক বোমা ‘লিটল বয়’। এর পরের ইতিহাস সবার জানা। সেই আণবিক বোমা হামলা ভুলে না যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে পালিত হচ্ছে হিরোশিমা দিবস।
৬ আগস্টের পর ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে ফ্যাটম্যান নামে আরকেটি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে জাপানের আসাহি শিমবুনের এক হিসাবে বলা হয়েছে, বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের কারণে দুই শহরে চার লাখের মতো মানুষ মারা যায়। এদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক।
হামলার ৭০ বছরে পার হয়ে গেলেও ভয়াল সেই দিনের কথা এখনো ভোলেনি জাপানের মানুষ। এখনো সেদিনের দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে হিরোশিমার ও নাগাসাকির মানুষ। আণবিক বোমা হামলার এতো বছর পরও শহর দুটোতে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু, ক্যানসারসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে বহু মানুষ।
দিবসটি পালনে দেশটির সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার জোরালো আহ্বান আসবে এসব কর্মসূচি থেকে।
আজ হিরোশিমা দিবস উপলক্ষে আমরা আণবিক ধ্বংস চিরতরে বন্ধ করার জন্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আবেদন জানাই। বিশ্ববাসী মূলত এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজকের দিনে বিশ্ববাসী যুদ্ধ নয়, শান্তি কামনা করে। কারণ যুদ্ধ ধ্বংসযজ্ঞের পাহাড় সমৃদ্ধি করে, হানাহানির তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি ঘটে, হারিয়ে ফেলে মানবতা। আমরা নায়ক হতে চাই না, নায়ককে জানাতে চাই-বিনা কারণে পৌরুষত্ব না দেখিয়ে সকলের প্রতি মৈত্রী প্রদর্শন করুন। এতে রয়েছে প্রশান্তি, ফিরে আসবে শান্তি, আমরা এগুবোনা ধ্বংসযজ্ঞের দিকে। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ চায় নিরাপদে জীবনযাপন করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সমাজ তথা দেশের উন্নতি ঘটাতে। পরিশেষে আবারো জানাই ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট তারিখে আণবিক বোমায় নিহত হিরোশিমা ও নাগাসাকিবাসী ও তাদের আত্মীয় স্বজন এবং স্থায়ী পঙ্গুত্ববরণকারীদের প্রতি সমবেদনা ।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ