Connect with us

খেলাধুলা

আবারও ভারতে ‘নিষিদ্ধ ক্রিকেট লিগ’!

Published

on

s-1
স্পোর্টস ডেস্ক:
জমজমাট মাল্টি বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঘরোয় টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএলের) উৎপত্তির পটভূমিকা জানা আছে! ক্রিকেটের খোঁজ-খবর নিয়মিত যারা রাখেন, তাদের এটা অবশ্যই জানা থাকার কথা। ভারতের বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলের কাউন্টার হিসেবে অভ্যূদয় ঘটে আইপিএলের। বিসিসিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত এই টুর্নামেন্টটি দুই মৌসুম কোনমতে চালানোর পর বন্ধ হয়ে যায়। এবার আবারও উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে সেই নিষিদ্ধ লিগ। ২০০৭ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জি গ্র“পের ব্রডকাস্টিং স্বত্ত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিদ্রোহী ক্রিকেট লিগ আইসিএলের জন্ম। কিন্তু বিসিসিআই এটাকে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং উল্টো আরেকটি লিগ তৈরি করল, যেটা আইপিএল নামে পরিচিত। আইসিএল ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আর আলোর মুখ দেখেনি। এবার ইন্ডিয়ান এসেল গ্র“প পরিকল্পনা করছে, আইসিএলের মতোই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বাইরে অন্য একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। এসেল গ্র“পের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক পরিচালক হিমাংশু মোদি নিজেই এই পরিকল্পনার কথা জানান। এই টুর্নামেন্টও হবে টি২০ ফরম্যাটের এবং অন্তত ১২টি দল নিয়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের। তবে কবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা হবে এ বিষয়ে এখনও কোন নির্দিষ্ট সময়সূচি উল্লেখ করা হয়নি। ২০০৭ আইসিএল আয়োজনেও অন্তর্ভূক্ত ছিল এসেল গ্র“প। নতুন লিগের পরিকল্পনা নিয়ে হিমাংশু মোদি বলেন, ‘আইসিএলের অভিজ্ঞতা আমাদেরকে আরও অভিজ্ঞ করে তুলেছে। যে ফরম্যাটটি নিয়ে এবার আমরা পরিকল্পনা করছি, সেগুলোও হবে টি২০ ফরম্যাটের। ১০ থেকে ১২টি দল থাকবে, যারা হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এই টুর্নামেন্টে খেলবে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এবার স্বল্প সময়ের কোন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছি না। এমনকি একটি টুর্নামেন্ট শেষ করতে বছর খানেক সময়ও লেগে যেতে পারে। আমরা জানি সময়ের বিষয়টা কঠিন কিছু নয়। কারণ, আমরা আগের মতো বিসিসিআইর খোঁড়া গর্তে আর পা দিতে চাই না।’ লিগের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। হিমাংশু মোদি বলেন, ‘আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মাঠ এবং খেলোয়াড়। আইসিএল চলার সময় আমরা ভারতের চারটি মাঠ ব্যবহার করবো। আর খেলোয়াড়ও নেবো মাত্র চারজন। বাকি ক্রিকেটারদের অধিকাংশই থাকবে বাইরের। যেমন- পাকিস্তান। তাদের অনেক ক্রিকেটারকে আমরা পাবো। সুতরাং, এতে আমি দেখি না যে বিসিসিআইর সাথে আমাদের কোন সমস্যা হবে।’ আইসিএলের নতুন পরিকল্পনার রিপোর্ট  ইতোমধ্যে আইসিসির হাতেও পৌঁছেছে। এতে আবারও নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেরে অভিভাবক সংস্থাটি। আইসিসির শীর্ষ তিন নীতি নির্ধারক এন শ্রীনিবাসন, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ালি এডওয়ার্ডস এবং ইংল্যান্ডের জাইলস ক্লার্ক এ বিষয়ে বৈঠকও করে ফেলেছেন। তার এই রিপোর্টের বিষয়ে তদন্তেরও নির্দেষ দিয়েছেন। জানা গেছে নতুন পরিকল্পিত এই লিগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, ওয়ালি এডওয়র্ড নিশ্চিত যে, তার দেশের ক্রিকেটাররা এসব থেকে নিরাপদ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রেসিডেন্টও জানালেন যে, তারা এখনও এ বিষয়ে কোন কিছু শোনেননি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *