জাতীয়
ইংলাকের ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে
চালে দেয়া ভর্তুকি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির অ্যাটর্নি-জেনারেল আদালতে এ অভিযোগ এনেছেন। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে ইংলাকের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। থাইল্যান্ডর দুর্নীতি দমন সংস্থাও বলেছে, চালে ভর্তুকি প্রকল্পের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য এককভাবে দায়ী ইংলাক। ২০১৪ সালের মে মাসে থাইল্যান্ডের একটি আদালত ইংলাক সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং এর পরপরই সেনাবাহিনী তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। কার্যত দেশটিতে এখন সামরিক শাসন জারি রয়েছে। এরপর চালে ভর্তুকি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে ইংলাককে ইমপিচ করা হয় এবং পাঁচ বছরের জন্য তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় কৃষকদের কাছ থেকে বাজারদরের চেয়ে চড়া দামে কৃষকদের কাছ থেকে চাল কিনে রাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলারের ক্ষতি করেছিলেন। কিন্তু থাইল্যান্ডের কৃষক সমাজ সরকারের ওই প্রকল্পে খুশি হয়েছিল এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, এ কারণে কৃষকরা আদালতে আজ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। তারা বলছেন, ইংলাকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার জন্য সেনা নিয়ন্ত্রিত আদালতে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।