আন্তর্জাতিক
ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে ঐতিহাসিক ‘পরমাণু চুক্তি’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছেছে বিশ্বশক্তি। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় কূটনীতিকরা সোমবার রাতভর বৈঠক করেন। এই বৈঠক থেকে চুক্তির বিষয়ে তারা মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
তবে ইরান ও বিশ্বশক্তির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পশ্চিমা কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, চূড়ান্ত চুক্তির পথে সব বাধা দূর হয়েছে।
একজন ইরানি কূটনীতিকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি পরমাণু ইস্যুতে চুক্তিতে পৌঁছেছে। এই চুক্তির ফলে ইরান তার পরমাণু কার্যক্রম সীমিত রাখবে। প্রতিদানে ইরানের ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক মহলের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
ইরানের এই কূটনীতিক স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘আমরা চুক্তি সম্পাদন করেছি। আল্লাহ আমাদের জনগণের সহায় হোন।’
এদিকে আরো একজন ইরানি কূটনীতিক রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন, বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন এবং জার্মানি এই ছয় বিশ্বশক্তি ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে কয়েক বছর ধরে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ডেডলাইনের পর ডেডলাইন পার হয়েছে। অবশেষে তাদের মধ্যে চুক্তি হলো।
অবশ্য বলে রাখা ভালো, চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত চুক্তির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত নয়। তবে সোমবার থেকে গণমাধ্যমে বলা হচ্ছিল, চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইরান।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার অভিযোগ করে আসছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকলে তা শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা হবে এবং প্রতিবেশী ইসরায়েল নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকবে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ইরানকে পরমাণু কার্যক্রম থেকে সরে আসতে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ইরানের সঙ্গে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স অনলাইন।