Connect with us

দেশজুড়ে

উলিপুরে পাটক্রয় কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা

Published

on

উলিপুর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিজিএমই’র আওতায় দু’টি পাটক্রয় কেন্দ্র ব্যবসায়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে হাতগুটিয়ে বসে থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে উপজেলার শতশত কৃষক। উপজেলার এ ক্রয় কেন্দ্রে দু’টির কাছে ব্যবসায়ীদের পাওনা প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বছর প্রতিকূল আবহাওয়ায় সেচ দিয়ে পাট পঁচানো ও মজুর সংকটের কারণে কৃষকদের বাড়তি উৎপাদন খরচ গুণতে হয়। কার্যত সাম্প্রতিক বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাজারে পাটের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। হাট-বাজারগুলোতে পাট নিয়ে গেলে ক্রেতার অভাবে কৃষকরা ফরিয়া ব্যবসায়ীদের কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, উপজেলায় এ বছর পাট উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার বেল।
জানা গেছে, বিজিএমসির আওতাধীন ২টি কোম্পানি গত ২০১৩-১৪ অর্থ বছর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করে। লেনদেনের এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। ইকবাল হোসেন চাঁদ, মৃদুল কান্তি দেবসহ একাধিক পাট ব্যবসায়ী এ প্রতিনিধিকে জানান, এক বছর ধরে পুঁজি আটকে থাকায় পাট ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও চলতি মৌসুমে লাটে উঠেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলায় জাতীয় জুট মিল্স ৮০ লাখ ও স্টার জুট মিল্স ৪৪ লাখ টাকা দীর্ঘ এক বছর ধরে ক্রয় কেন্দ্র দু’টির কাছে ব্যবসায়ীদের পাওনা রয়েছে। উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাট-বাজারগুলোতে এখনো ব্যবসায়ীরা পাট কিনতে শুরু করেনি। বাজারে ১১’শ থেকে ১৪’শ টাকায় ফরিয়া ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনছে। কৃষকরা জানান, শ্রমিক সংকট ও খরায় উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় পাট বিক্রি করে তাদের কোন চাহিদাই পূরণ হচ্ছে না। আগামীতে তারা পাট উৎপাদন না করার কথা জানান।
এদিকে, বকেয়া টাকা না দেয়া প্রসঙ্গে জাতীয় জুট মিল্স এর সহকারি ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান জানান, তাদের মোট দেনা রয়েছে, ১১ কোটি টাকা আর মিলের পাটজাত দ্রব্য মজুদ রয়েছে ৫০ কোটি টাকার। মিলের মালামাল বিক্রি না হওয়ায় তারা ব্যবসায়ীদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। তিনি যথাশীঘ্রই ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ করার কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করা না হলে বন্যা কবলিত এ অঞ্চলের কৃষকরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *