জাতীয়
এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে সোয়া ১২ লাখ শিক্ষার্থী
এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা আজ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। দেশের দুই হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে রোববার সকাল ১০টায় একযোগে শুরু হবে এই পরীক্ষা। এসএসসির মতো এইচএসসিতেও এবার থেকে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। দুই পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট বিরতি রাখা হয়েছে। এবারের এ পরীক্ষায় ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এবার প্রথম দিন এইচএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র এবং বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র (ডিআইবিএস) পরীক্ষা হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ রবিবার সকালে সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা এসবের সঙ্গে (প্রশ্ন ফাঁস) যুক্ত থাকেন তার পুলিশি ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আছেন। সকাল ১০টায় শুরু হবে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা, ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হবে সৃজনশীল অংশের পরীক্ষা। তবে ট্র্যাডিশনাল বিষয়ের ক্ষেত্রে রচনামূলক পরীক্ষা ১০টায় শুরু হবে। বিকালের পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২ হাজার ১৩২ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ জন।
মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। এবার থেকে এ পরীক্ষায় প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি থাকবে। ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এ বছর মোট ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে ২০ জুন শেষ হবে।