Connect with us

জাতীয়

একনেকে ১৩৪৭ কোটি টাকার ছয় প্রকল্প অনুমোদন

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পুরো টাকাই দেবে সরকার। ছয় প্রকল্পের মধ্যে একটি পুরানো ও পাঁচটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, “একনেক সভায় ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপ-বৃত্তি’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়–য়া শিক্ষার্থীরা এতোদিন ব্যাংকের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে। এবার ব্যাংকে নয়, ভিশন-২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনেই উপবৃত্তির টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা। বিকাশ বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা এ টাকা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক পদ্ধতি অনুসরণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় অবস্থিত কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে। দেশের সব উপজেলায় এই কাযর্ক্রম অব্যাহত থাকবে।”
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪০ ভাগ ছাত্রী ও ১০ ভাগ ছাত্রকে উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। অপরদিকে এইচএসসি পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া হবে।
অপরদিকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আÍকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। গরিব পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ করবে। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, উপর্জানে অসমর্থ, পঙ্গু, বোবা ও অন্ধ পিতা-মাতার সন্তানেরা মোবাইল ফোনে উপবৃত্তি পাবেন। এদিকে পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন সড়কের ১২ কিলোমিটারে এলেনজানী নদীর উপর ৯৩ দশমিক ০২ মিটার নাল্লাপাড়া পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ এবং বালিয়া-ওয়ার্শি-মির্জাপুর সড়কে দু’টি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৬২ লাখ। প্রকল্পটি অক্টোবর ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
‘ইস্টাবলিশমেন্ট অব রুর‌্যাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমি অ্যাট রংপুর’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এটি অক্টোবর ২০১৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা নিরসনেও একটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অতিরিক্ত ৫০০ ছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাবেন। ‘নীলফামারী ও নেত্রকোনা জেলা স্টেডিয়ামের উন্নয়ন এবং রংপুর মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি অক্টোবর ২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
এছাড়া ‘সরকারি বিদ্যালয়বিহীন ৩১৫টি উপজেলা সদরে অবস্থিত নির্বাচিত বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহকে মডেল বিদ্যালয় রূপান্তর’ প্রকল্পটিও একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৫৫৮ কোটি টাকা। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *