দেশজুড়ে
এখনও গ্রেফতার হয়নি সীমান্ত এলাকার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিরা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাগলীতে এখনও পর্যন্ত চাঁদাবাজী মামলাসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় নি তাহিরপুর থানা পুলিশ।
জানা গেছে, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বীরেন্দ্র নগর গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র লাল বাহাদুর, মেছের আলীসহ দশজনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাহিরপুর থানার মামলা নং-সি/আর ৬৬/১৪। যার গ্রেফতারি পরোয়ানা বিগত তিন মাস যাবৎ জারি আছে। মধ্যনগর থানার অপহরণ মামলা নং ৩৭/৩ যা বিচারাধীন আছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি তারা এলাকার নিরীহ জনগণের জায়গা জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারায় লিপ্ত আছে। এরই জের ধরে আকবর আলী সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মাইনুদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে রঙ্গাছড়া পশ্চিম মৌজার এক একর ঊনষাট শতাংশ জায়গার মালিক দাবি করে একাধিক মামলা করে। কিন্তু বার বার মামলার রায় মাইনুদ্দিন গংদের পক্ষে আসার পরও শুধুমাত্র ভয়ে নিজেদের জায়গা ভোগ দখল করে খেতে পারছেন না নিরীহ কৃষক মো. মাইনুদ্দিন। নিজের জায়গার দখলে যেতে চাইলে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ করেন নিরীহ কৃষক মাইন উদ্দিনসহ ভুক্তভোগীরা। দরিদ্র কৃষক মাইনুদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৩ সালে আকবর আলী ও তার ভাই লাল বাহাদুরসহ দশজনকে আসামি করে বিজ্ঞ জুডিশ্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করলে অদ্যাবধি আদালতে হাজির না হওয়ায় মাননীয় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় মাননীয় আদালত আসামিদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে গুম, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা থাকার পরও রহস্যজনক কারণে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে বিগত ২১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার পাঁচ শতাধিক লোক স্থানীয় বীরেন্দ্রনগর বাজারে মানববন্ধন করে যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ২০ ও ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে চাঁদাবাজি মামলার বাদি মো. মাইন উদ্দিন গত ৮ ফেব্র“য়ারি আসামিদের গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেন।