খেলাধুলা
ওয়ার্নার প্রকাশ করবেন ফিফার সব দুর্নীতি
স্পোর্টস ডেস্ক:
প্রথমে দুর্নীতির অভিযোগে ছয় কর্মকর্তা গ্রেফতার পরে ফিফার নির্বাচন। সেখানে জয়ী হয়েও চার দিনের মাথায় সেপ ব্লাটারের পদত্যাগ; সব মিলিয়ে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা ফিফাকে নিয়ে বেশ সরগরম বিশ্ব মিডিয়া। পদত্যাগ করেও শান্তি পাচ্ছেন না ব্লাটার। তিনিই এখন তদন্তের মুখে। নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। এমন উদ্ভুট পরিস্থিতির আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন ফিফার সাবেক সভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘ফিফার দুর্নীতি সম্পর্কে যা জানি, সবই প্রকাশ করব’। জ্যাক ওয়ার্নারও নিষ্কুলষ ব্যক্তি নন। সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১১ সালে সব অভিযোগ মাথায় নিয়ে ফিফার সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে পদত্যাগ করতে হয় ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকেও। এখন সময়টা টালমাটাল। আর তাই ফিফার গভর্নিং বডির দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছেন ওয়ার্নার। যদিও তিনি বলেছেন, ‘আমি সবই প্রকাশ করব। তবে আমি এও জানি আমার জীবন এখন হুমকির মুখে’। ইতোমধ্যে দুই সাবেক কর্তা-সহ মোট ছ’জনের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছে ইন্টারপোল। তালিকায় সবার আগে নাম রয়েছে জ্যাক ওয়ার্নারের। আছেন এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য নিকোলাস লিওজ। বাকি চার জন ফিফার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্পোর্টস মার্কেটিং কোম্পানির প্রধান। ফুটবল কর্মকর্তাদের ১৫ কোটি ডলারেরও বেশি ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযোগ রয়েছে এঁদের বিরুদ্ধে। ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক কোটি ডলার উৎকোচ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১০ বিশ্বকাপ পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছেন। তবে তার আগেই সব প্রকাশ করতে শুরু করেছেন ওয়ার্নার। নিজ দেশের নির্বাচনে ফিফা সভাপতি সেফ ব্লাটার প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওয়ার্নার। এখন দেখার বিষয় ফিফার দুর্নীতি নিয়ে কি তথ্য দেন ওয়ার্নার। অন্যদিকে ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফিফার এক সাবেক কর্মকর্তা। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ফিফার উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা থাকা চাক ব্লেজার দিয়েছেন স্বীকারোক্তি। ১৯৯৮ ও ২০১০ বিশ্বকাপ ইভেন্টের সময় ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। সাবেক এই ফিফা কর্মকর্তা জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, আয়কর ফাঁকি সহ ১০টি অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল জেরোম ভালকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।