Connect with us

আন্তর্জাতিক

কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষনের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

Published

on

suzzetteসুজেট জর্ডন।

অনলােইন ডেস্ক: ভারতের কলকাতার ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিটে একটি চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত কাদের খান সাড়ে চার বছর পালিয়ে থাকার পরে ধরা পড়েছে। আরেক পলাতক অভিযুক্ত আলি খানকেও একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ রাজধানী দিল্লির লাগোয়া গ্রেটার নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় অন্য তিনজন আগেই ধরা পড়েছে এবং তাদের সাজাও দিয়েছে আদালত। তবে সাজা ঘোষণার আগেই ধর্ষিতা নারী সুজেট জর্ডন মেনিঞ্জাইটিস রোগে গত বছর মার্চে মারা গেছেন। কলকাতা পুলিশ বলছে ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারীর ওই ঘটনার পরেই কাদের আর আলি মুম্বইতে পালিয়ে যান।
দক্ষিণ কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলছেন, “বেশ কিছুদিন আগেই তাঁদের কাছে খবর আসে যে কাদের দিল্লির কাছাকাছি কোথাও আছে। তারপর থেকেই খোঁজ শুরু হয়। আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেখা যায় যে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে মাঝে মাঝেই আত্মীয়দের কাছে ফোন আসছে। সেই মোবাইল নম্বরটির সূত্রেই বাড়িটি চিহ্নিত করা হয়। তারপরেই রাতে গ্রেপ্তার করে আজ কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রগুলি বলছে, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অবশেষে দিল্লি লাগোয়া গ্রেটার নয়ডা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল কাদের আর তার সহ অভিযুক্ত আলি।
দোষীদের কয়েকজনের সাজা হয়ে যাওয়া এবং ধর্ষিতার মৃত্যুর পরে নতুন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আর আইনজীবিদের একাংশ। এক্ষেত্রে আগে যে বিচার হয়েছে, সেখানে নথিবদ্ধ তথ্য, স্বীকারোক্তি, সাক্ষীদের বয়ান প্রভৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছিল।

কলকাতায় ২০১২ সালের ৫ আর ৬ ফেব্রুয়ারী মাঝরাতে পার্ক স্ট্রীটের একটি অভিজাত হোটেল থেকে বেরনোর সময়ে কাদের সহ বাকি অভিযুক্তরা গাড়িতে লিফট দেওয়ার নাম করে সুজেট জর্ডনকে গাড়িতে তোলে এবং চলন্ত গাড়িতেই ভোর পর্যন্ত ধর্ষণ করে। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে অভিযোগ ওঠে যে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে অস্বীকার করেছিল। ওই ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সহ একাধিক মন্ত্রীও ‘সাজানো ঘটনা’ বলেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তেই অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। পরে ঘটনার শিকার সুজেট জর্ডন নিজেই অন্তরাল থেকে বেরিয়ে আসেন।
বিবিসি কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি কেন পরিচয় গোপন করে থাকব? যারা ধর্ষণ করেছে, তাদেরই উচিত মুখ লুকিয়ে থাকা।” ভারতে কোনও ধর্ষিতা নিজেই পরিচয় প্রকাশ করছেন – এমন ঘটনা এটাই প্রথম না হলেও খুবই বিরল।
তবে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার আগে তিনি যেমন আগে ধৃতদের সাজা হওয়া দেখে যেতে পারেন নি, তেমনই জানতে পেলেন না মূল অভিযুক্ত কাদের খানের গ্রেপ্তার হবার খবরও।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *