Connect with us

দেশজুড়ে

কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গনে চরকাউয়া বাজার বিলীন

Published

on

বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকাউয়া বাজারের ২০টি দোকানসহ বিশাল এলাকা কীর্তনখোলা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে চরকাউয়া খেয়াঘাট ও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজার এলাকায় আকস্মিকভাবে এ ভাঙন দেখা দেয়।
মুহূর্তের মধ্যেই খেয়াখাটের পন্টুন ও সড়কসহ বিশাল এলাকা নদীগর্ভে দেবে যেতে শুরু করে। এসময় একে একে বাজারের ২০টি দোকান নদীগর্ভে চলে যায়। সেই সঙ্গে বিলীন হয় চরকাউয়া বাজার এলাকার বিশাল অংশের পাকা সড়ক। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙনের কবলে পড়ে স্থানীয়রা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এসময় নিজেদের মালপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু করেন তারা। ওই বাজারের ব্যবসায়ী হায়দার আলী জানান, সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ২০টি দোকান বিলীন হয়ে যায়। এসময় তার একটি তেল ও দু’টি স্টেশনারি দোকান নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের হাত থেকে তিনি কয়েকটুকরো কাঠ ছাড়া কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। এখন হয়তো পরিবার-পরিজন নিয়ে পথেই বসতে হবে তাকে।
আব্দুল মালেক মজুমদার জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে কীর্তনখোলা নদীর এ অংশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তা ঠেকাতে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই। নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য জাকিয়া বেগম জানান, সকালে ভাঙন শুরু হওয়ার পর তারা দোকানের মালপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দোকানঘরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সবশেষ বেলা ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভাঙন অব্যাহত ছিল। নদী ভাঙন কবলিত এলাকার আশপাশের দোকানঘর ও বসতিঘরগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা। এদিকে এখনও হুমকির মুখে রয়েছে চরবাড়িয়া আহমদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশালের জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি জানান, প্রথমে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা সল্প সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *