Connect with us

আন্তর্জাতিক

কোমিকে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের সতর্কবার্তা

Published

on

সদ্য বরখাস্ত হওয়া এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমিকে মিডিয়ার সামনে মুখ না খোলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে যে কথোপকথোন হয়েছে তা তারা রেকর্ড করে রেখেছেন।

শুক্রবার সকালের দিকে এক টুইটে কোমিকে এই সতর্কবার্তা দেন ট্রাম্প। এতে তিনি বলেন, আশা করি মিডিয়ার সামনে মুখ খোলার আগে কোমি’র মনে থাকবে যে, আমাদের মধ্যকার কথোপকথোনের কোনো টেপ (রেকর্ড) নেই।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বরখাস্ত করার আগে তিনি এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমির কাছে তিনবার জানতে চেয়েছিলেন, তাকে নিয়ে তদন্ত চলছে কি না৷ জবাবে তিনি বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত চলছে না।

কোমিকে বরখাস্ত করার পর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, আমি কোমিকে জিজ্ঞেস করেছি, যদি সম্ভব হয় আমাকে বলুন, তদন্তে আমার নাম আছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আপনার ওপর কোনো তদন্ত চলছে না। মঙ্গলবার কোমিকে লেখা বরখাস্তের চিঠিতেও ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমি জানি, আমার ওপর কোনো তদন্ত চলছে না।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে এফবিআই তদন্তে নিজের নাম না থাকার দাবি করেছেন। কোমির বরখাস্তের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কোমিকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, তিনি একজন অসাধারণ অভিনেতা। তার অধীনে এফবিআই সংশয়ের মধ্যে চলছিল। কারো অনুরোধে নয়, আমি নিজ সিদ্ধান্তেই কোমিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডেমোক্র্যেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁস এবং ট্রাম্প প্রশাসনে রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কোমি। আর এ জন্যই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি সমালোচকদের।

চলতি বছরের মার্চে এনএসএ, সিআইএ এবং এফবিআই-এর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, তাদের মূল্যায়নে বেরিয়ে এসেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকে প্রভাবিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি করা, হিলারি ক্লিনটনকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নির্বাচনে তার সমর্থনকে প্রভাবিত করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। এছাড়া পুতিন এবং রুশ সরকারের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ী করার ক্ষেত্রে পরিষ্কার পক্ষপাতিত্ব ছিল বলেও তাদের মূল্যায়নে উঠে এসেছে। তথ্যসূত্র: বিবিসি ও রয়টর্স।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *