দেশজুড়ে
গঙ্গাচড়ায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন
গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় জৈবিক বালাই দমন পদ্ধতিতে এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প খরচে ফলন ভাল হওযায় কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে। কৃষকরা ব্যস্ত আউশ ধান কর্তন করে, গোলায় তুলে জমিতে আমনের চাষ করতে।
জানা যায়, বোরো ধান কর্তনের পরেই আউশ ধানের চাষাবাদ শুরু হয়। বোরো ধান কর্তনের ১ মাস পূর্বে আউশের বীজ বপন করে চারার বয়স ১ মাস হওয়ার সাথে বোরো কর্তনের পরেই আউশ ধানের চারা জমিতে রোপন করে যা ৯০ দিনের মধ্যে স্বল্প খরচে কর্তন করে আবার আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। আউশ ধানে সেচ দিতে হয় না আকাশের পানিতেই হয়। এছাড়া পোড়া মাকড়ের আক্রমণ কম হয়, কোন কীটনাশক ছাড়াই, কৃষি অফিস ও ব্র্যাক কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিমপাতার রস, বিশ কাটালীর রস ¯েপ্র করে এ ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। সার পরিমাণ মত ১/২ বার ব্যবহার দেওয়া হয়েছে। ফলে কম খরচে ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে উফশী ২ হাজার ২৫০ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় ২৫ একর জমিতে আউশ ধান হাইব্রিড সাথী চাষাবাদ করা হয়। এদিকে গঙ্গাচড়া ব্র্যাক কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় গতকাল উত্তর পানাপুকুর এলাকায় আউশ ধান কর্তন উপলক্ষে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শত শত কৃষক-কৃষাণীর উপস্থিতিতে সমাবেশে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফছিউল আলম দুলু, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, ব্র্যাক কৃষিবিদ ওমর ফারুক, ম্যানেজার গুলশানআরা ফারজানা, আউশ ধান চাষাবাদ সহ কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দেন। কৃষক সোহরাব, নুরুজ্জামান, সাজু জানান, ধান কর্তন শেষে মাড়াইয়ের পরে পরিমাপ করে দেখেন একরে ৭৫ থেকে ৮০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। আমন ও বোরোর মাঝখানে খুব কম খরচে আউশ চাষাবাদ করে উৎপাদন ভাল হওয়ায় তাদের খাদ্যের কোন ঘাটতি হবে না।
কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, কৃষিকে আধুনিক চাষাবাদের মাধ্যমে দু’ফসল জমিতে তিন ফসল চাষাবাদের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে আউশ ধান চাষাবাদ খুবই প্রয়োজন। অল্প খরচে এ ধান চাষ করা যায়।