দেশজুড়ে
কুড়িগ্রামে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা, এক ধর্ষকের মৃত্যু, গ্রেফতার ২
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গণ ধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করা হয়েছে এক স্কুল ছাত্রীকে। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া (হার্ডএটাক) বন্ধ হয়ে রাস্তায় মারা যায় বখাটে প্রেমিক আয়ুইব আলী (২২) নামের এক ধর্ষক। নিহত স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে বর্বরোচিত ওই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের ঘটনা এটি।
রৌমারী থানা পুলিশ জবাই করা স্কুল ছাত্রী ও বখাটে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের ধারনা পরিকল্পিত ভাবে ৩ বখাটে ওই লোম হর্ষক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১। নাসির উদ্দিন (২২) ২। বাতার গ্রামের ছবরউদ্দিনের পুত্র আনোয়ার নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন থানার ওসি সোহরাব হোসেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আব্দুল হাই আকন্দের কন্যা নিহত আর্জিনা খাতুন। ঘটনার দিন স্কুল ছাত্রী ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। আর্জিনা খাতুন এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। বখাটে প্রেমিক আয়ুইব আলী তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে স্কুল ছাত্রীর বাড়ির রান্না ঘরে অবস্থান করে। এক পর্যায়ে আর্জিনা খাতুনে রান্না ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় আয়ুইব আলী মারা যায়। অন্য দুইজনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
একই উপজেলার চেংটা পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বাতেন এর পুত্র বখাটে আয়ুইব আলী। সে জোর করেই আর্জিনা খাতুনের সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছিল। কিন্তু আর্জিনা খাতুনের অন্য স্থানে বিয়ের দিনতারিখ ঠিক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। আর এ কারনে গণ ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রামের মানুষের মাঝে গুঞ্জন চলছে।
নিহত স্কুল ছাত্রীর মা সাজেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই আয়ুইব আলী মেলা দিন থিকা আমার মাইয়াকে বিরক্ত করে আসছিল। আর এ কারনে মাইয়ার বিয়া দিবার চাইছিলাম। কিন্তু শয়তানরা তাকে বাঁচতে দিল না। আমি খুনীদের ফাঁসি চাই। যাতে আমার মাইয়ার আত্মা শান্তি পায়।’
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, ওই নির্মম হত্যা কান্ডে সরাসরি ৩জন ছিল বলে আমরা আশংকা করছি। ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা বলতে পারব না। তবে যারা ওই হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আয়ুইব আলীর মারা যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, জবাই করার পরে ভয়ে তার মৃত্যু ঘটেছে। এটাই ধারনা করছি আমরা।