Connect with us

গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা

Published

on

গাইবান্ধাগাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়িসহ সাত উপজেলায় বোরো ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে। ধান উৎপাদন হবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মে. টন।
এ জেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৬৭ হেক্টর জমি। কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই নানা রোগে আক্রান্ত হয় ইরি-বোরো ফসল সাত উপজেলার সর্বত্রই বোরো ধানের ক্ষেত্রে ব্যাপক আকারে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিন না হওয়ার আশংকায় কৃষকেরা দিশেহারা। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, ধানক্ষেত্রে রোগ বালাই লেগেই আছে। সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পাতিলবাড়ি গ্রামের কৃষক ময়নাল হোসেন জানান, ধানক্ষেতে নেকবাস্টসহ পচারি রোগ দেখা দিয়েছিল। এ কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ফলন কমে গেছে। সাঘাটা উপজেলার ফুটানি বাজার এলাকার কৃষক রজব আলী জানান, এ এলাকায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। রোগ বালাইয়ের উপদ্রুপও কম। তবে ক্ষেতে ধান গাছ হলুদ হয়ে চিটা ধরেছে। ধানের মধ্যে চাল নেই। ফলে মাড়াই করার পর দেখা যায় ধানের চেয়ে চিটার পরিমাণ বেশি।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, কখনও দিনে গরম আবার রাতে ঠান্ডা ও সকালে ঘনকুয়াশার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। তবে এ রোগে কিছু কিছু ধান ক্ষেতের ক্ষতি হলেও ব্যাপক হারে কীটনাশক প্রয়োগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়। ফলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অজন ব্যাহত হওয়ার তেমন কোন আশংকা নেই।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *