Connect with us

জাতীয়

গুলশানে জঙ্গি হামলা: প্রকৌশলী হাসনাত করিমের ল্যাপটপ জব্দ

Published

on

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিমগুলশান হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিমের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তার বনানীর বাসায় তল্লাশি চালায়।সেখান থেকে তার ব্যবহৃত ল্যাপটপটি জব্দ করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে গুলশানের হলি আর্টিজানে অভিযানের পর স্বপরিবারে উদ্ধার হন হাসনাত করিম। পরে অন্যদের সঙ্গে তাদেরও রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তথ্য জানতে এবং যাচাই-বাছাই করতে তাকেসহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও হাসনাত করিম এখনও গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছেন। তবে তাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ১২ ঘণ্টা জিম্মি সংকট চলেছিল গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে। যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয় তারা পুরো সময়ই ভেতরে ছিলেন। সেখানকার পরিস্থিতির প্রত্যক্ষদর্শীও তারা। তদন্তের অংশ হিসেবে তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নাম ও পরিচয় নেওয়া হচ্ছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কারণ, মামলা হলে এর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাউন্টার টেররিজমকে।
হাসনাত করিম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। হামলাকারীদের কয়েকজন ওই ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেস্টুরেন্টে জঙ্গিদের সঙ্গে তার ছবিও দেওয়া হয়। তিনি হামলাকারীদের সহায়তা করেছেন কিনা সেটা নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তল্লাশির বিষয়ে কিছু না বললেও হাসনাত করিম গোয়েন্দা হেফাজতে রয়েছেন বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাহবুব আলম। তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
গত শুক্রবার রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নাম্বার সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ২ পুলিশ সদস্য, ১৭ বিদেশি নাগরিক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গিও নিহত হয় বলে শনিবার সেনা সদরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। অভিযানে জীবিত উদ্ধার করা হয় তিন বিদেশি নাগরিকসহ ১৩ জিম্মিকে। আটক করা হয় এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে হাসনাত সপরিবারে ওই রেস্টুরেন্টে ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল। নিহত সাত জাপানির মধ্যে ছয়জনই মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *